আসানসোল জেলা হাসপাতাল পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, শিশু বিভাগের কোয়ালিটি বিচারে ” মুসকান “
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ* ” গুনগত মান বা কোয়ালিটি ” বিচারে ” মুসকান “। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ” ন্যাশানাল কোয়ালিটি এস্যাুওরেন্স স্ট্যান্ডার্ট ( এনকিউএএস) ” এনকাসের অধীনে এই ” মুসকান ” প্রজেক্ট। এই প্রজেক্টে আসানসোল জেলা হাসপাতাল কতটা কাদের টার্গেটে যেতে পেরেছে, তা সরজমিনে দেখতে আসেন কেন্দ্রীয় সরকারের দুই সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। তার মধ্যে একজন চিকিৎসক ছিলেন। দুদিনের জন্য এই প্রতিনিধি দল সোমবার আসানসোল জেলা হাসপাতালে আসেন।




সোমবারের পাশাপাশি মঙ্গলবার দুই সদস্য আসানসোল জেলা হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক বা চাইল্ড ( শিশু) বিভাগের আউটডোর ( ওপিডি) , ইনডোর বা ওয়ার্ড ( আইপিডি) ও এসএনসিইউ বা সিক নিউনেটাল কেয়ার ইউনিট ঘুরে দেখেন। এখনো পর্যন্ত জেলা হাসপাতালের শিশু বিভাগের এই তিনটি জায়গা কতটা পারফরম্যান্স করেছে, তা দেখা হয়। সাফাই বা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থেকে সুযোগ সুবিধা কি পর্যায়ে আছে, তাও দেখা হয়েছে। এই প্রতিনিধি দল গোটা বিষয়টি নিয়ে পর্যায়ক্রমে জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস, ডেপুটি সুপার কঙ্কন রায়, কোয়ালিটি ম্যানেজার সুরভী বন্দোপাধ্যায় গোস্বামী , ৫ জন সহকারী সুপার ( ভাস্কর হাজরা, সৃজিত মিত্র, মমতাজ চৌধুরী, ডাঃ দেবদীপ মুখোপাধ্যায় ও মিলন দে) সহ অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করেন। প্রতিনিধি দল কোয়ালিটি বিচারে নিজেদের মতো করে তথ্যও সংগ্রহ করেছেন।
পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার বিকেলে দুই সদস্য ফিরে যান। কোয়ালিটি বিচারে আসানসোল জেলা হাসপাতালের শিশু বিভাগ কতটা সূচক বা নম্বর পেয়েছে তা আগামী দিনে জানা যাবে।
তবে জেলা হাসপাতালের সুপার এই পরিদর্শনের পরে বেশ আশাবাদী। এদিন বিকেলে তিনি বলেন, জেলা হাসপাতালের পারফরম্যান্স ভালো। আশা করি, আমরা ভালো ফল পাবো। কেননা এর আগে জেলা হাসপাতাল ” এনকিউএএসে” ওভারঅল ভালো নম্বর পেয়েছি। এবারেও তা অন্যথা হবেনা।
প্রসঙ্গতঃ, চলতি বছরের মার্চ মাসেই আসানসোল জেলা হাসপাতাল ” এনকিউএএসে ” সার্টিফিকেট পেয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের কোয়ালিটি বিচারে।