RANIGANJ-JAMURIA

অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস পূরণ হল, রাণীগঞ্জ শহরের যানজট দুর্গাপুজোর আগেই কমবে

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস পূরণ হল। দীর্ঘ প্রাচীন খনি শহরের যানজট, দুর্গাপুজোর আগেই অল্প একটু কমবে, এই আশা নিয়ে, স্বস্তি ফেলতে চলেছে, রাণীগঞ্জ অঞ্চলের শহরবাসী। এবার অপরিকল্পিত যানজটপূর্ণ রানীগঞ্জ শহরে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করার প্রায় এক বছর পর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কে কার্যকর করতে উদ্যোগ গ্রহণ করল পূর্ত দপ্তর।

রানীগঞ্জ শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত, রানিগঞ্জের এনএসবি রোড সংলগ্ন নেতাজি স্টাচুর কাছে, যা বর্তমানে ষাট নম্বর জাতীয় সড়ক হয়েছে, সেই শহরের মাঝেই জাতীয় সড়কের পাশে ও রানীগঞ্জ বাজার এলাকায় দোকান হাটের সামনেই, যানজট পূর্ণ হয়ে থাকে সর্বদাই। যার ফলে, যত্রতত্র পার্কিং করার কারণে, রানীগঞ্জ শহরের বাজার এলাকা যানজট পূর্ন হয়ে পড়ায় রানীগঞ্জে ব্যবসার ওপর ব্যাপকভাবে পড়ে।

এই বিষয়টি লক্ষ্য করে, রানীগঞ্জের বণিক সংগঠন চেম্বার অফ কমার্স দুর্গাপুরে ২০২২ সালের ২৯ শে জুন এক প্রশাসনিক বৈঠকে, মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোর পরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইনমন্ত্রী, ও পি ডব্লিউ ডি’র দায়িত্বে থাকা মলয় ঘটক কে রাণীগঞ্জের এই সমস্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখে, ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। চেম্বার অফ কমার্সের সেই অনুরোধক্রমে পি.ডব্লিউ.ডি র অব্যবহিত হয়ে থাকা প্রায় 6 বিঘা জমিতে, পার্কিং স্ট্যান্ড গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবার ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হলো। সোমবার পুজোর আগেই সেই নির্দেশকে কার্যকর করার লক্ষ্যে, পি ডব্লিউ ডির আধিকারিকেরা ওই জঙ্গল পূর্ণ এলাকাকে, সাফ সাফাই করে, ওই অংশটি পার্কিং এরিয়া হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করলেন।

সোমবার এই সাফ সাফাইয়ের বিষয়ে লক্ষ্য করতে, পি. ডব্লিউ. ডি. র, মধ্যে থাকা ওই স্থানটিকে পরিদর্শন করতে এলেন, রানীগঞ্জের বণিক সংগঠন চেম্বার অফ কমার্সের সদস্যরা। তারা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে এই পার্কিং এরিয়া গড়ে ওঠায় স্বভাবতই খুশি সকলেই। পূজোর আগেই এই পার্কিং এরিয়া গড়ে উঠলে, নামিয়ে পার্কিংয়ের অনেকটা সুবিধা হবে বলেই দাবি করেছেন। জানা গেছে এই পার্কিং এরিয়াতে প্রায় চারটির মত টু হুইলার ও ২০০ এরও বেশি ফোর হূইলার যানবাহন এখানে রাখা যাবে। আর যানবাহনের এই ভিড় কমার কারণে রানীগঞ্জ বাজারের বিকিকিনি অনেকটাই বাড়বে বলেই আশাবাদী ব্যবসায়ী মহল।

Leave a Reply