এডিডিএর আগুন লাগার ঘটনার পর আসানসোল পুরসভার ঘুম ভেঙেছে
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল : আসানসোল পুরসভার সদর দপ্তরে আগুন লাগলে আগুন নেভানোর জন্য প্রয়োজনীয় তেমন ব্যবস্থা নেই। দুর্গাপুরের এডিডিএর আগুন লাগার ঘটনার পর পুরসভার কিছুটা হলেও ঘুম ভেঙেছে। তারা অন্তত তাদের পুরসভার চারতলার ভবনগুলি এবং বড় দপ্তরে সবমিলিয়ে প্রায় ১০০ টির মতো ফায়ার এক্সটিংগুইজার লাগানোর জন্য বৃহষ্পতিবারই ভাবনা চিন্তা এবং কাজকর্ম শুরু করেছেন।
জানা গেছে আসানসোল পুরসভার প্রধান ভবনটি শতবর্ষ প্রাচীন। এর যে পুরনো ভবনটিকে আধুনিক সাজে সজ্জিত করা হয়েছে সেখানেই যেমন অগ্নি নির্বাপন কোনও ব্যবস্থা নেই। তেমনি বাম আমলের শেষের দিকে তৈরি পুরসভার চারতলা ভবনটি যেখানে বোর্ড মিটিং হয় সেখানেও আগুন নেভানোর কোন ব্যবস্থা নেই ।




এছাড়াও জিতেন্দ্র তেওয়ারি মেয়র থাকাকালীন স্টেশন রোডের উপর পুরসভা লাগুয়া বিরাট চার তলায় একটি ভবন হয়েছে এখানে পুরসভার মুখ্য কার্য নির্বাহী আধিকারিক ছাড়াও বহু দপ্তরের অফিস আছে। এই ভবনে আগুন লাগলে পাইপের মাধ্যমে যাতে জল দিয়ে আগুন নেভানো যায় সেই অংশের কাজ করলেও তা সম্পূর্ণ না হওয়ায় এবং আন্ডারগ্রাউন্ড তেমন রিজার্ভারের ব্যবস্থা না থাকায় এই ব্যবস্থা চালু করা যায়নি। সর্বোপরি ফায়ার দপ্তরের এই সংক্রান্ত কোন সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়নি বলে অগ্নি নির্বাপন দপ্তর সূত্রেই জানা গেছে।
।
পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের দুই আধিকারিক জানান আজই তারা বসেছেন এখানকার সমস্ত ভবনগুলি ছাড়াও ১০ টি বোরো অফিসে প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার এক্সটিংগুইজার এর ব্যবস্থা করা এবং টেন্ডার করা ।স্বয়ংক্রিয় অগ্নি নির্বাপন যে ব্যবস্থা তা করতে গেলে বিশাল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন ।সেই অর্থ পুরসভা যদি জোগাড় করতে পারে তাহলে নিশ্চয়ই তা করা যায়।
পুরসভার ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক বলেন অবশ্যই এটা করা উচিত ।আগে যারা ছিলেন তারা কেন করেননি সেটা তারা বলতে পারবেন ।কিন্তু আমরা মেয়র সাহেবের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেব।