ASANSOL

রানীগঞ্জে অবৈধ নির্মাণ ভাঙা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : অবৈধ নির্মাণ ভাঙার ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো খনিশহর রানীগঞ্জে। খনিশহরে এবার তৃতীয় দফায় ভাঙা হলো অবৈধ নির্মাণ। আগামীতে খনি শহরের ১১ টি ওয়ার্ডে আরও ১০০ টির বেশি স্থানে অবৈধ ভাবে নির্মাণ করা বেশ কিছু বাড়ি ভাঙার জন্য উদ্যোগ নেবে আসানসোল কর্পোরেশন, যার জন্য শীঘ্রই এক বিশেষ পরিদর্শন করতে চলেছেন আসানসোল কর্পোরেশনের আধিকারিকেরা।

শুক্রবার খনি শহরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের, শিশু বাগান এলাকায় অবস্থিত অরবিন্দ বুচাসিয়া, অভিষেক বুচাসিয়া ও গৌতম বুচাসিয়ার দ্বারা নির্মিত একটি বাড়ি ও বাড়ি সংলগ্ন সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিল আসানসোল কর্পোরেশনের বাস্তু বিভাগ। এদিন সকালেই প্রথমে বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকেরা পৌঁছে ওই বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। পরে কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ারেরা জেসিবি দিয়ে পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে ভেঙে ফেলে অবৈধভাবে নির্মাণ হওয়া ওই বাড়িটি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আসানসোল কর্পোরেশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অভিজিৎ অধিকারী জানিয়েছেন, এই বাড়িটি অবৈধভাবে নির্মাণ হওয়ার বিষয়ে ২০১৭ সালে বাড়ি মালিকদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, তারপরও তারা অবৈধভাবে নির্মাণ চালিয়ে যাওয়ার পর, তারা বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। এরপরই ৬.৮.২০২২ সালে বাড়িটি অবৈধভাবে নির্মাণ হয়েছে এই বিষয়টি ঘোষণার পরও বাড়ি মালিক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায়, তারা পুনরায় আদালতের দ্বারস্থ হলে বিচারক ওই বাড়ি তৈরীর সঙ্গে যুক্ত থাকা সদস্যদের বাড়ির দিকে অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিলেও, তারা কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করায়, কর্পোরেশন পুনরায় আদালতের দ্বারস্থ হলে বিচারক কর্পোরেশনকে ওই বাড়ির এক হাজার ১৬ স্কয়ার ফুট এলাকা যা অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, তা ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেন। এবার সেই নির্দেশ কার্যকর করার লক্ষ্যেই কর্পোরেশন ওই বাড়ির সম্পূর্ণ অংশ ভেঙে ফেলতে ব্যবস্থা গ্রহণ করল।

যদিও ওই বাড়ি তৈরির সঙ্গে যুক্ত থাকা সদস্যরা দাবি করেছেন তারা এই বাড়িতে যাতে না ভাঙ্গা হয় তার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, তারপরও তাদের কোন কথা না শুনে এ ধরনের কড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যার তারা বিরোধ করেছেন। যদিও সেই সকল কথা না শুনে কর্পোরেশনের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন সমস্ত নিয়ম-নীতি মেনেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

জানা গেছে খনি শহরে এই তিনটি বাড়ি ভাঙার ঘটনায়, কর্পোরেশন থেমে থাকবে না, এরপর আগামীতে রানীগঞ্জ শহরের ১১ টি ওয়ার্ডে অবৈধভাবে ১০০টিরও বেশি যে অবৈধ নির্মাণ করা বাড়ি রয়েছে, সেই সকল বাড়িগুলিকে ভেঙে ফেলতেও প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে। যা আগামীতে কার্যকর করা হবে বলেই জানিয়েছেন কর্পোরেশনের বাস্তুকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *