ASANSOL

আসানসোলে বেআইনি নির্মাণ জরিমানা প্রায় ১৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা, মেটানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় / সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: আসানসোল পুরনিগমের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঘবন্দি এলাকায় প্রায় ১ লক্ষ ৩৪ হাজার বর্গফুটেরও বেশী এলাকায় বেআইনী ভাবে একটি কারখানা ও গুদাম তৈরি করার অভিযোগ উঠেছিলো আসানসোলের বাসিন্দা রেখা বার্ণওয়াল ও বিজয় কুমার বার্ণওয়ালের বিরুদ্ধে। এবার এই ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন রেখা বার্নওয়াল ও বিজয় কুমার বার্ণওয়াল।


গত ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়ে বলেছে, আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষ ২০১৫ সালের ১৭ অক্টোবর অতিরিক্ত বা এডিশনাল চার্জ নির্ধারণ করেছে। সেই অনুযায়ী আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে সেই টাকা পরিশোধ করার কথা ঐ নির্দেশে বলা হয়েছে । জানা গেছে, আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষ শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর সেই টাকা পরিশোধ করার জন্য রেখা বার্নওয়াল ও বিজয় কুমার বার্ণওয়ালকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রতি বর্গফুটে ১ হাজার টাকা হিসাবে সবমিলিয়ে ১৩ কোটি ৩৯ লক্ষ ৪১ হাজার ৯১০ টাকা দেওয়ার কথা ঐ নোটিশ জারি করা হয়েছে।

এই মামলার রায় স্বাভাবিক ভাবেই আসানসোল পুরনিগম এলাকায় অবৈধ নির্মাণকারীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ আসানসোল পুরনিগমের আসানসোল, রানিগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায় বড় মাপের অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এইসব নির্মাণের ক্ষেত্রে আসানসোল পুরনিগমের জরিমানা করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে অনেকেই হাইকোর্টে গেছেন। সেই রকম ভাবেই রেখা বার্ণওয়াল ও বিজয় কুমার বার্ণওয়াল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলো।

জানা গেছে, তারা আসানসোল পুরনিগম কর্তৃক প্রতি বর্গফুট ১ হাজার টাকা অতিরিক্ত চার্জা ছাড়াও প্রতি বর্গফুট দেড় হাজার টাকা জরিমানা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। এরপর অবৈধ নির্মাণের জন্য পুরনো হারে অর্থাৎ প্রতি বর্গফুট ১ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত ২৭ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষে এই আদেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২২ নভেম্বর।

এ বিষয়ে আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক বলেন, মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বর্তমান পুর বোর্ড অবৈধ নির্মাণের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। আমরা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছি। যারা শহরে অবৈধ নির্মাণ করছেন তাদের জন্য এটি একটি উপযুক্ত জবাব। যারা অবৈধ নির্মাণ করছেন তাদের কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না হলে ডেপুটি মেয়র পরিষ্কার করে দিয়েছেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *