রানীগঞ্জ স্টেশনের বেহাল দশা দেখে হতবাক ডিআরএম
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ : ঐতিহ্যবাহী হেরিটেজ ঘোষিত রানীগঞ্জ রেলস্টেশনে, শনিবার হঠাৎ করেই পরিদর্শনে এসে অবাক হলেন আসানসোল রেল ডিভিশনের ডিআরএম চেতনানন্দ সিংহ। তিনি এদিন আচমকায় রানীগঞ্জ রেল স্টেশনের বিভিন্ন পরিকাঠামো কিরূপ রয়েছে, সে সবগুলি খতিয়ে দেখে, তিনি একেবারে হতবাক হয়ে পড়লেন। একসময় যে সকল কারণে রানীগঞ্জ স্টেশন কে হেরিটেজ স্টেশন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই সকল বিষয়গুলিকে সকলের মাঝে তুলে ধরার লক্ষ্যে একটি আর্ট গ্যালারিতে, স্টেশনের বিভিন্ন ঐতিহাসিক কথা, ও রানীগঞ্জ কয়লা খনি র কারণে গড়ে ওঠা এই প্রথম রেল স্টেশন সম্পর্কিত বিভিন্ন ছবি ও এখানে আসা বিভিন্ন মনীষীদের ছবির সাথেই, স্টেশনটি কি কারনে হেরিটেজ স্টেশন হিসেবে গড়ে উঠেছে, সে সকল বিষয়, নানানভাবে সংগ্রহ করে, তা রেলওয়ে বিভাগ,যাত্রীদের সামনে আর্ট গ্যালারিতে তুলে ধরেন।
আর এবার তা পরিদর্শনে এসে, আট গ্যালারির বেহাল অবস্থা দেখে একেবারে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন ডি আর এম। এদিন তিনি এক বিশেষ ট্রেনে করে রানীগঞ্জের রেলস্টেশনে বেলা প্রায় এগারোটা কুড়ি নাগাদ এসে পৌঁছন। এরপরই প্রথমে তিনি রানীগঞ্জের ওয়েটিং রুমে ঘুরে দেখে সেখানে শৌচালয়ের বাইরে বড় করে শৌচালয় কেন লেখা হয়নি, ও শৌচালয় থাকার বিষয়টি স্পষ্ট করা নেই কেন সে সম্পর্কে জানতে চান, কথা বলেন শৌচালয়ের পরিচালক ও মাস্টারের সাথে।
পরবর্তীতে তিনি স্টেশনের টিকিট কাউন্টার সংলগ্ন দুটি স্টল ঘুরে দেখে, সেখানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই কেন ? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তার দাবি দিনের আলোতেই এলাকাটি অন্ধকার রয়েছে, আর সেখানে যে লাইট লাগানো রয়েছে তা অপেক্ষাকৃত ভাবে কম আলো দেয়, যা একটি স্টেশনের পক্ষে উপযুক্ত নয়, তাই অবিলম্বে সেখানে বড় মাপের লাইট লাগানোর নির্দেশ দেন। এরপরই তিনি হেরিটেজ স্টেশনের আর্ট গ্যালারি লক্ষ্য করে হতবাক হয়ে পড়েন যা দেখে তিনি অবিলম্বে সেখানে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য মাস্টারকে নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে, স্টেশনে কি কি আর খামতি রয়েছে, আর কি কি ব্যবস্থা প্রয়োজন, সে সম্পর্কে জেনে নিয়ে, তা আগামীতে সঠিক করার জন্য উদ্যোগ নেবেন বলেই আশ্বাস দেন।