RANIGANJ-JAMURIA

বোগড়া বিবেকানন্দ মিশন হাই স্কুলে বিজয়া সম্মেলন ও পুনর্মিলন উৎসবের আয়োজন

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : মনের স্মৃতি কোঠা থেকে কোনদিন মুছে ফেলা যাবে না, নিজেদের শৈশব, আর সেই স্কুল-বেলা। স্কুলের বন্ধুদের খুনসুটি, সকল মনের কথা, নিজের প্রিয়জনকে জানিয়ে, মুহূর্তে নিজেকে হালকা করে নেওয়া, বন্ধুর খোঁজ তো দেয়, একমাত্র স্কুল। তাই সেই স্কুলের দিনগুলি বারংবার নিজেদের অবচেতন মনে ঘুরে ফিরে আসতে থাকে, মনে হয় আরো একবার ফিরে যেতে পারি না, সেই স্কুলের দিনগুলিতে। সেই সকল বিষয়গুলিকে মাথায় রেখেই অন্য বেশ কয়েকটি স্কুলের মতই জামুড়িয়ায় সুপ্রসিদ্ধি লাভ করা, বিবেকানন্দ কেন্দ্র কন্যাকুমারীর সাথে যোগাযোগ পূর্ণ স্কুল, যা জামুরিয়ার বোগড়া বিবেকানন্দ মিশন হাই স্কুল নামে খ্যাত, সেই স্কুলেই বিগত কয়েক বছর আগে গড়ে উঠেছে প্রাক্তনীদের এক মঞ্চ। এবার সেই মঞ্চে শামিল হয়ে, এই মিশন স্কুলে পড়া, দূর দূরান্তের বহু প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী এবার বিগত বছরগুলির ন্যায়। বিজয়া সম্মেলন ও পুনর্মিলন উৎসবের আয়োজন করলেন। নিজেদের স্মৃতির কথা তুলে ধরে, দিনভর প্রবীণ ও নবীন শিক্ষকদের সম্বর্ধনা জানিয়ে, নানা অনুষ্ঠানে মেতে রইলেন প্রাক্তনীরা।

বর্তমানে স্কুলের বেহাল অবস্থার বিষয় লক্ষ্য করে, নিজেদের সময়কালে এই স্কুলের যে সুন্দর পরিবেশ ছিল, যা সকলের নজর কা কাড়তো বলেই দাবি , সেই পরিবেশ কোথায় যেন আজ মিলিয়ে গেছে, সে সব কথা তুলে ধরে, সেই সময়ের বিদ্যার্থীদের সঙ্গে, বর্তমান সময়ের বিদ্যার্থীদের, তুলনাও টানলেন অনেকেই। এ নিয়ে আফসোসও করলেন। তবে সে সকলকে ব্যতি রেখে, কি ভাবে আরো ভালো করে, তাদের স্কুলকে গড়ে তোলা যায়, সেই বিষয়ে বিস্তর আলোচনা করলেন প্রাক্তনীরা।

দেশ-বিদেশে থাকা, বহু প্রাক্তন পড়ুয়া এই অনুষ্ঠানে আসতে না পারায়, মেসেজ পাঠিয়ে বার্তাও দিয়েছেন। তবে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ও রাজ্যের বিভিন্ন অংশে থাকা বেশ কিছু প্রাক্তনি নিজেদের সমস্ত কাজ ফেলে দিয়ে শামিল হয়েছেন এই বিজয়া সম্মেলনীতে। সকলের একটাই আফসোস ছোটবেলাটা কেমন যেন হঠাৎ হারিয়ে গেল। প্রাক্তন ছাত্রদের এ ধরনের উদ্যোগ দেখে স্বাভাবতই খুশি প্রাক্তন শিক্ষক মহল। তারা নিজেদের উচ্ছ্বাস জাহির করে এই অনুষ্ঠানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন


তবে এদিন বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষকেরা পড়েছেন মহা বিপাকে, তাদের কাছে সেখানে শিক্ষকতা করলেও কেন তাদের ছেলেমেয়েদের সরকারি স্কুলে পড়াচ্ছেন না, সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারা দিলেন এক অদ্ভুত উত্তর। যদিও সত্যিই তা বর্তমান সময়ে একেবারে প্রাসঙ্গিক উত্তর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সব মিলিয়ে একটা দিন যেন আনন্দে মেতে, আড্ডা দিয়ে, নিজেদের শৈশবের সব স্মৃতি গুলি ঝালিয়ে নিলেন সকল প্রাক্তনীরা। মুহূর্তে আবেগপ্রবণ হয়ে উঠলো সকলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *