BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

টিএমসিপির ব্লক সভাপতির বাবার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য

বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন তৃনমুল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ বা টিএমসিপির ব্লক সভাপতির বাবার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হলো। মঙ্গলবার ঘটেছে এই ঘটনাটি। মৃত ব্যক্তির নাম গোপীনাথ মন্ডল (৫৫)। চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার কর্মী ছিলেন গোপীনাথ মণ্ডল । এদিন রেল শহর চিত্তরঞ্জনের ফতেপুর এলাকার ৫৫ নম্বর স্ট্রিটের ২৩/৩ রেল আবাসন থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। গোপীনাথ মন্ডলের ছেলে মিঠুন মণ্ডল সালানপুর ও চিত্তরঞ্জন ব্লকের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্লক সভাপতি পদে আছেন। গোপীনাথবাবুর চাকরি জীবনের আর কয়েকটা বছর বাকি ছিলো। তার আগে এমন ঘটনায় রেল শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

file photo

সূত্রের খবর, কিছু দিন ধরেই গোপীনাথ মন্ডল শারীরিক অবস্থা খারাপ চলছিল। মানসিকভাবেও দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি। আপাতত মৃতদেহটি চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার সকালে সেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গেছে, এদিন সকালে গোপীনাথ মন্ডলের স্ত্রী হাসপাতালে গেছিলেন। ছেলে মিঠুন মণ্ডল কাজের সূত্রে রানিগঞ্জে ছিলেন। স্ত্রী দুপুর তিনটে নাগাদ বাড়িতে ফিরে দেখেন এই স্বামী ঘরের মধ্যে গলায় দড়ির ফাঁস লাগালো অবস্থায় ঝুলছেন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকেরা দৌড়ে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে। সেখানে এমারজেন্সি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর দেওয়া হয় ছেলে মিঠুনকে। তিনি রানিগঞ্জ থেকে ছুটে আসেন।


গোপীনাথবাবুর এইভাবে মৃত্যুর কোন সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে এই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে স্থানীয় মানুষের মধ্যে। গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় যখন গোপীনাথ মণ্ডলকে দেখতে পাওয়া যায়, তখন তার পা মাটিযে ছোঁয়া ছিলো বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানায় চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলাও এই ঘটনায় করা হয়েছে বলে পুলিশ এদিন জানায়। তবে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, রেল কর্মী গোপীনাথ মন্ডল কোন কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। যে কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *