ASANSOL

Fake Dear Lottery : অবৈধ টিকিট ছাপানোর কারখানার সন্ধান

বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :- ( Fake Lottery racket busted ) পশ্চিমবঙ্গের কুলটি থানার পুলিশ বুধবার জামতারার মিহিজাম পুলিশের সহযোগিতায় মেহিজাম এর রূপনারায়ণপুর মেহিজাম যাবার প্রধান রোডে একটি বন্ধ হোটেলে অভিযান চালায়। যেখানে ভুয়া অবৈধ ডিয়ার লটারির টিকিট ছাপানোর কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। জামতারা পুলিশ সুপার অনিমেশ নাইথানি বুধবার মিহিজাম থানায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান যে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে কুলটি পুলিশের মাধ্যমে তথ্য পাওয়া গেছে যে মিহিজাম থানার অন্তর্গত আমোই রেলওয়ে আন্ডারপাসের কাছে নকল লটারি ছাপানো এবং বিক্রি করা হচ্ছে।যেখান থেকে টিকিট বিক্রেতারা সরকার কে ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করছিল।


এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসডিপিও আনন্দ জ্যোতি মিঞ্জ ও থানার ইনচার্জ ভাস্কর ঝা-এর নেতৃত্বে একটি দল গঠন করে অভিযান চালানো হয়।সেখানে অভিযান চালিয়ে বহু নকল লটারির টিকিট সহ নকল লটারি তৈরিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, আটটি ল্যাপটপ, ১২টি ডিজিটাল প্রিন্টার, পাঁচটি স্ট্যাপলার, বিভিন্ন সাইজের তেরশত লটারির বান্ডিল,প্রিন্ট করা লটারির টিকিট সাতটি ব্যাগ,একটি ভারী কাগজের কাটিং মেশিন
পাওয়া যায়। তাছাড়া তিনটি ব্যবহৃত কার্তজ, পাঁচটি বাইক ও দুটি প্রিন্টিং মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযানে ওই বন্ধ আমান হোটেল থেকে মোট সাতজনকে আটক করা হয়।

যেখানে জামতারা নারায়ণপুর ভ্যালি সিমলার কুণাল মণ্ডল (২১) বিশাল মণ্ডল,(২২) গোবিন্দপুর বেলাতন্ডের 21 বছরের শিবু গোপ, হেমু মল্লিক, আদিত্য মল্লিক, অন্নত মল্লিক, আস্তিক অধিকারীকে। আটক করেছে ।তবে এই হোটেলের মালিক চন্দন ঠাকুরকেও খুঁজছে পুলিশ। এই বিষয়ে, পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা নং 74/23, 4 লটারি আইন 1998 এবং 7 (3) লটারি নিয়ন্ত্রণ আইন 1998 এর অধীনে সাতজন এর নামে এবং অন্যান্য অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে৷

Leave a Reply