কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক থেকে পুরষ্কৃত পশ্চিম বর্ধমান জেলা
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন স্কুল পড়ুয়াদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নতিতে নজীর
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন স্কুল পড়ুয়াদের ( চাইল্ড উইথ স্পেশাল নিডস্ বা সিডব্লুএসএন) শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নতিতে নজীরবিহীন কাজের স্বীকৃতি পেলো পশ্চিম বর্ধমান জেলা। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক ” ইনোভেশন ইন এডুকেশনাল এ্যাডমিনিস্ট্রেশান” র জন্য পশ্চিম বর্ধমান জেলাকে একটি শংসাপত্র বা সার্টিফিকেট অফ এ্যাপ্রিশিয়েন দিয়েছে। এছাড়াও দেওয়া হয়েছে একটি পদকও। গত ৫ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে এই শংসাপত্র ও পদক সার্কেল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ঋতপথিক ঘোষের হাতে তুলে দেন।
জানা গেছে, এই পুরষ্কার নিতে দিল্লিতে যাওয়ার কথা ছিলো সদ্য উত্তরবঙ্গে বদলি হয়ে যাওয়া পশ্চিম বর্ধমান জেলার ডিস্ট্রিক্ট এডুকেশন অফিসার বা ডিইও তমোজিৎ চক্রবর্তী ও ব্লক এডুকেশন অফিসার বা বিইও ঋতপথিক ঘোষের। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে আছেন। তাই তমোজিৎ চক্রবর্তী দিল্লি যেতে পারেননি।
৪ ও ৫ ডিসেম্বর দিল্লিতে ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট অফ এডুকেশনাল প্ল্যানিং এন্ড এ্যাডমিনিস্ট্রেশানের একটি অনুষ্ঠান ছিলো। সেখানে ২০২০-২০২১ ও ২০২১-২০২২ আর্থিক বছরের পারফরম্যান্সের বিচারেই পশ্চিম বর্ধমান জেলাকে এই পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এই পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ২৭০০ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন স্কুল পড়ুয়া আছে। তাদের শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের উন্নতিতে জেলার শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক হিসাবে ডিইও ও বিইওর একটা বিশেষ ভূমিকা ছিলো। তারা বছরভর শিক্ষা দপ্তরের অন্য আধিকারিক ও কর্মীদের পাশাপাশি স্কুল কতৃপক্ষকে এই স্কুল পড়ুয়াদের জন্য কাজ করেছেন। স্কুল পড়ুয়াদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কোন খামতি আছে কি না, তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারই স্বীকৃতি হিসাবে পশ্চিম বর্ধমান জেলার সাফল্যের মুকুটে জাতীয় স্তরে একটি পালক যুক্ত হলো।