ASANSOL

বঞ্চিত হচ্ছেন আসল লোকেরা, জাতি শংসাপত্র নিয়ে সরব জিতেন্দ্র তেওয়ারি

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায়: এবার এসসিএসটি কাস্ট সার্টিফিকেট বা তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের জাতি শংসাপত্র নিয়ে সরব হলেন আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোলের জিটি রোডের গোধূলি মোড় সংলগ্ন আবাসন কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, জেলা প্রশাসন যদি এই শংসাপত্র দেওয়া নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে যারা এই শংসাপত্র বা সার্টিফিকেট পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তাদের নিয়ে রাস্তায় আন্দোলনে নামবো। আসানসোলে মহকুমাশাসক কার্যালয় ঘেরাও করে আইন অমান্য আন্দোলন করা হবে জিতেন্দ্র তেওয়ারি এদিন জানিয়েছেন।


এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, এসসিএসটি জাতি শংসাপত্র নিয়ে একটি জালিয়াতি চক্র সক্রিয় রয়েছে। তার প্রাণকেন্দ্র হলো এই আসানসোল। আসানসোলের মহকুমাশাসকের কার্যালয় থেকে জাল সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। যারা আসল এসসিএসটি জাতির মানুষ, তারা সার্টিফিকেট পাচ্ছননা। তাদের বদলে যারা ঐ জাতির নয় তাদের জাল সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের নেতাদের সুপারিশে টাকা নিয়ে মহকুমাশাসকের কার্যালয় থেকে এই বেআইনি কাজ করা হচ্ছে। তার আরো দাবি, এই আসানসোল থেকে প্রমাণ পাওয়ার পরে, তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দলের তফসিলি উন্নয়ন পরিষদের নামে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারি একটি পিআইএল করেছেন। তাতেই হাইকোর্টের বিচারপতি রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসকদের এই সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যাপারে নজরদারি করার নির্দেশ দেন। নির্দেশে আরো বলা হয়েছে, এইক্ষেত্রে কোন অনিয়ম হলে, জেলাশাসকদেরকে এফআইআর করতে হবে।


এই প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তেওয়ারির কটাক্ষ রাজ্যে চাল, কয়লা, বালি, লোহা ও চাকরি চুরি তো আগে থেকেই আছে। এখন জাল জাতি শংসাপত্র দিয়ে তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষদের অধিকারও চুরি করা হচ্ছে।
যদিও, জিতেন্দ্র তেওয়ারির এই অভিযোগ মানতে চাননি, শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব। এক নেতা বলেন, এই সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন সুপারিশ লাগেনা। আসল তথ্য প্রমান জমা দিলেই, তা পাওয়া যায়। সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজ প্রশাসনের। আর অভিযোগ যে কেউ করতে পারে। আর বিজেপি রাজনৈতিক লড়াইয়ে পেরে উঠতে না পেরে সবক্ষেত্রেই আদালতে যায়।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের তরফে এই ব্যাপারে কোন আধিকারিক মন্তব্য করতে চাননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *