BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

চিত্তরঞ্জনে অবৈধ নির্মাণ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত, ভাঙা হলোনা বিজেপির অফিস, রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

যাদের বাড়ি রেল কর্তৃপক্ষ ভেঙ্গে দিচ্ছে বা দিয়েছে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বারাবনি বিধায়ক

বেঙ্গল মিরর, চিত্তরঞ্জন, কাজল মিত্র, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার রেল শহর চিত্তরঞ্জনে রেলের তরফে অবৈধভাবে নির্মাণ হওয়া সব বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । কয়েকদিন আগেই বেশ কিছু অবৈধ দোকান ভাঙা হয়েছিলো এই রেল শহরে।
সোমবারের পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই রেল শহরে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। ফতেপুরের পরে এদিন সিমজুড়ি এলাকার কাপুর বস্তিতে চিহ্নিত করা ৪২ জনের অবৈধ বাড়ি ভাঙ্গা হয়েছে।
এদিকে, রেল শহরে যাদের বাড়ি রেল কর্তৃপক্ষ ভেঙ্গে দিচ্ছে বা দিয়েছে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বারাবনি বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। তারই নির্দেশ মতো সোমবার ও মঙ্গলবার উচ্ছেদ হওয়া প্রায় শখানেক পরিবারকে হিন্দুস্তান কেবলসের ভগ্ন আবাসনে ও এলাকায় বন্ধ হয়ে যাওয়া হাইস্কুল ভবনে অস্থায়ী ভাবে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে হিন্দুস্থান কেবলস পূর্নবাসন সমিতি।


তবে মঙ্গলবার চিত্তরঞ্জন শহরের সিমজুড়ি কাপুর বস্তি নামক জায়গায় প্রায় ৪২ বাড়ি ভেঙ্গে ফেলা হয়। কিন্তু দেখা যায় সেই এলাকায় থাকা বিজেপি কার্যালয়টি ভাঙ্গা হয়নি। সেই নিয়ে রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় মানুষ থেকে বিরোধীরা দলের নেতা ও কর্মীরা।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির চিত্তরঞ্জনের সভাপতি শঙ্কর তেওয়ারী বলেন, রেলের তরফে আমার দোকান বাবদ ১ হাজার বর্গ ফুট এলাকা অ্যালটমেন্ট রয়েছে।তাই আমার দোকান ও বাড়ি ভাঙ্গা হয়নি। আর বিজেপির দলীয় কার্যালয়টি তিনি তখনই ভাঙতে দেবেন যখন রেল চিত্তরঞ্জন শহরের মধ্যে থাকা বাকিসব রাজনৈতিক দলের কার্যালয় গুলি ভাঙবে। এই ভরা শীতে এভাবে এত মানুষকে এত বছর থাকার পর উচ্ছেদ করা প্রসঙ্গে শংকরবাবু বলেন, এদের প্রত্যেকের যেখানে নিজেদের বাড়ি সেখানে চলে যাওয়া উচিত। অহেতুক বিতর্ক তৈরী করা হচ্ছে।

এদিকে, এই নিয়ে সালানপুর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি বিজয় সিং বলেন, রেল হচ্ছে কেন্দ্র সরকারের অধীন। তাই তারা কেন্দ্র সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শা’ র মত গবীর মানুষের উপর শোষণ নীতি গ্রহণ করেছে। আমি মানছি রেল আগে থেকে নোটিস দিয়েছে। তাও এত ঠান্ডার মধ্যে গরীব মানুষের মাথার ছাদ কেড়ে নিলেন তারা। তারা সবাই ৩০/৪০ বছর ধরে এই এলাকায় বাস করে আসছেন। ঐসব পরিবারের ছেলেমেয়েরা এখানকার সরকারি স্কুলগুলোতে পড়াশোনাও করে। তারা আজ কোথায় যাবে। তিনি আরো বলেন, যদি বিধায়ক তাদের পাশে না দাঁড়াতো তবে তারা কোথায় যেতো? তিনি নির্দেশ দিয়েছেন এইসব গৃহহীন মানুষগুলোর সাথে যোগাযোগ করে তাদের খাওয়া এবং অস্থায়ী ভাবে থাকার ব্যবস্থা করতে। কারণ তারা সবাই বারাবনি বিধানসভার ভোটার। তাই এই সময় তাদের পাশে থাকা আমাদের সবার কর্তব্য। আমরা সেটাই করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *