জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগ, চারটি বিশেষ ধরনের রোগ নিয়ে দুই বর্ধমান ও পুরুলিয়ার কর্মশালা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ( Asansol Live News Today ) মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বা ডিজিজ হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হলো এইচআইভি, এইডস, সিলিফিস ও হেপাটাইটিস বি এবং সি। এই চারটি রোগকে কি ভাবে ঠেকানো যায় ও কাজ করার ক্ষেত্রে নিজেদের অভিজ্ঞতা আদানপ্রদান করতে শুক্রবার সকালে আসানসোলের বিবেকানন্দ সরণীর আইএমএ বা ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের আসানসোল শাখার কনফারেন্স হলে ” ক্রস লার্নিং ওয়ার্কসপ বা কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিলো। পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এই কর্মশালার উদ্যোক্তা।
পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান ও পুরুলিয়া জেলার স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক ও ফিল্ডে এই চার ধরনের রোগ নিয়ে যারা প্রতিদিন কাজ করে থাকেন সেই সরকারি স্বাস্থ্য কর্মী ও পাঁচটি এনজিও বা নন গভর্মেন্ট অর্গানাইজেশনের সদস্যদের এই কর্মশালায় ডাকা হয়েছিলো। এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের ব্লাড সেফটি ডিভিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর ডাঃ বিজয় প্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস খান, ডেপুটি সিএমওএইচ (৪) ডাঃ অনন্যা মুখোপাধ্যায় সহ তিন জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ছিলেন। তিন ঘন্টা ধরে চলা এই সেমিনারের একবারে শুরুতে স্বাস্থ্য আধিকারিক ও কর্মশালায় অন্য নেওয়া স্বাস্থ্য কর্মী ও এনজিওর সদস্যদের একটি করে মেহগনি গাছের চারা দেওয়া হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পশ্চিম বর্ধমানের সিএমওএইচ।
ন্যাশালান এইডস কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ফেজ – ৫ পর্যায়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
তিন জেলার স্বাস্থ্য দপ্তরের তিন ডেপুটি সিএমওএইচ নিজেদের জেলায় এই চারটি রোগ নিয়ে যাবতীয় তথ্য স্লাইড শোয়ের মাধ্যমে তুলে ধরেন। তিন জেলায় ২০২২ ও ২০২৩ সালে এই রোগের গতিপ্রকৃতি বা সিনারিও ঠিক কোন জায়গায় আছে তা বোঝানো হয়।
এই সম্পর্কে ব্লাড সেফ ডিভিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর ও পশ্চিম বর্ধমানের সিএমওএইচ বলেন, এই তিনটি জেলা একবারে পাশাপাশি বা বলতে গেলে লাগোয়া। আর্থ সামাজিক পরিবেশও অনেকটা একই ধরনের। তাই এই তিনটি জেলাকে নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এটা যে ধরনের কর্মশালা সাধারণত হয়ে থাকে, তা নয়। আমরা এই জেলায় কেমন কাজ হচ্ছে, কোন জেলা কোন ক্ষেত্রে ভালো কাজ করছে, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। নিজেদের কাজ করার অভিজ্ঞতা আদানপ্রদান করা হচ্ছে। যাতে বোঝা যায়, কারোর কোথাও কোন সমস্যা হচ্ছে কি না। তারা আরো বলেন, এই রোগগুলি মুলতঃ ব্লাড বা রক্ত ও সেক্সুয়ালি হয়ে থাকে। ব্লাড ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে সব রকম নিয়ম মেনে চলা হয়। যে সব পরীক্ষা ম্যান্ডেটারি তা করা হয়। ” সেফ সেক্স”র জন্য সব ধরনের প্রচার চালানো হয়ে থাকে। বিভিন্ন জায়গায় বিনামূল্যে কন্ডোম বিতরণ করা হয়। যৌন পল্লীতে স্বাস্থ্য দপ্তরের পাশাপাশি এনজিওর সদস্যরা নজরদারি করেন।
- পশুবলি নিষিদ্ধে আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের : অবশেষে বোল্লা কালী মন্দিরে বলি নিয়ে কাটল জটিলতা
- বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আবারও আসানসোল পুরনিগমে বিক্ষোভ সাফাই কর্মীদের, আশ্বাস মেয়রের
- Mamata Banerjee : अवैध कोयला – बालू पर करें कार्रवाई, जो पैसा ले रहा वह समझे, किसी को ना छोड़े
- पार्वती टीचर्स ट्रेनिंग इंस्टीट्यूट में आर्ट आफ लिविंग का चार दिवसीय शिविर
- দামোদরে ডুবে মৃত্যু ধানবাদের তিন স্কুল পড়ুয়ার