ASANSOL-BURNPUR

আসানসোল পুরনিগমের সাফাই কর্মী খুনের ঘটনা, ধৃত দুজনের ৮ দিনের পুলিশ হেফাজত

বেঙ্গল মিরর, বার্ণপুর ও আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্ণপুরের সূর্যনগরের চাঁপরাইল গ্রামের পুকুরের পাশে জঙ্গল থেকে শনিবার সকালে আসানসোল পুরনিগমের বোরো অফিসের এক সাফাই কর্মী মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিলো। আসানসোল জেলা হাসপাতালে মৃতদেহর ময়নাতদন্তের পরে জানা যায়, সাধন বাউরি (৪৪) নামে ঐ সাফাই কর্মীকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করতে নেমে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে হিরাপুর থানার পুলিশ চাঁপরাইল গ্রামের বাসিন্দা অরুন বাউরি ও রঙ্গলাল বাউরিকে আটক করে। রবিবার দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সোমবার দুজনকে আসানসোল জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। মৃত সাধন বাউরি আসানসোল পুরনিগমের কুলটি বোরো অফিসে অস্থায়ী সাফাই কর্মী হিসাবে কাজ করতেন।

জানা গেছে, সাধন বাউরির মাথার পেছনে পাথর ও বোল্ডার জাতীয় ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাতে তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, মৃত সাধন বাউরির ছেলে রাজু বাউরি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, শুক্রবার রাতে তার বাবা বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন। শনিবার সকালে এক ব্যক্তি আমাকে বলেন, পুকুরের পাশে জঙ্গলে বাবার মৃতদেহ পড়ে আছে। তার বাবার সঙ্গে দুজন ছিলো। সেই দুজনের নাম রাজু পুলিশকে জানান।
অন্যদিকে হিরাপুর থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, মৃতদেহ উদ্ধারের পরে ঐ ব্যক্তির সঙ্গে থাকা দু’জন অরুণ বাউরি ও রঙ্গলাল বাউরিকে আটক করা হয়েছিলো। প্রাথমিক জেরায় তারা স্বীকার করেছে যে, সাধন বাউরির সঙ্গে দুজন শুক্রবার রাতে ঐ এলাকায় হোডিংয়ের এ্যাঙ্গেল চুরি করেছিলো। পরে রাতে তারা চাঁপরাইল গ্রামের অদূরে পুকুরের পাশে জঙ্গলে চোরাই মালের ভাগবাটোয়ারা করছিলো।

সেই সময় সাধনের সঙ্গে তা নিয়ে বচসা লাগে। এরপর এই দুজন মিলে তাকে পাথর ও বোল্ডার জাতীয় ভারী জিনিস দিয়ে মাথার পেছনে আঘাত করে পালিয়ে যায়। শনিবার সকালে এলাকার এক বাসিন্দা জঙ্গলে তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে বাড়ির লোকেরা খবর পায়। পুলিশ আধিকারিক আরো বলেন, মৃত ব্যক্তির ছেলের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২, ১২০/বি ও ৩৪ নং ধারায় মামলা করা হয়েছে। দুজনকে ৮ দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply