আসানসোলে ফুড সেফটি সেল ও ল্যাব তৈরির উদ্যোগ, জায়গা চেয়ে মেয়রকে চিঠি সিএমওএইচের
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ( Paschim Bardhaman News ) পশ্চিম বর্ধমান জেলায় শীঘ্রই চালু হতে চলেছে ফুড সেফটি ল্যাব। এর সঙ্গে পাশাপাশি এই জেলায় ফুড সেফটি বা খাদ্য নিরাপত্তা সেল গঠনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস খান জেলা খাদ্য সুরক্ষা সেল এবং ফুড সেফটি ল্যাবের জন্য আসানসোলের রেলপারে যে কর্মতীর্থ ভবন রয়েছে, সেখানে জায়গাগুলো বরাদ্দ করার জন্য আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়কে একটি চিঠি দিয়েছেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে একটি চূড়ান্ত রুপরেখা তৈরি করতে গত ডিসেম্বরে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পোন্নাবালাম এসের সভাপতিত্বে খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক জেলা পর্যায়ের উপদেষ্টা কমিটির একটি বৈঠক হয়। পদাধিকারবলে এই কমিটির চেয়ারপার্সেন হলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক।
প্রসঙ্গতঃ, ইতিমধ্যেই পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ফুড সেফটি অফিসার বা এফএসও হিসাবে সুকৃতি মুখোপাধ্যায়কে মাস খানেক আগেই নিয়োগ করা হয়েছে। আপাততঃ তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে বসতে বলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ট্রেনিং নিতে গেছেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
ডিসেম্বরে হওয়া বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, আসানসোলের রেলপারে যে কর্মতীর্থ ভবন রয়েছে সেখানে একটি পরীক্ষাগার ল্যাব করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ফুড সেফটি সেল ও ল্যাব আগামী মাস থেকে কাজ শুরু করবে। এখন খাদ্যে ভেজাল আছে কিনা তা দেখা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার ছিলো। ল্যাব না থাকার কারণে পরীক্ষার রিপোর্ট পেতেও দেরি হতো।
আসানসোলের কর্মতীর্থ ভবনে জেলা ফুড সেফটি সেল ও স্থায়ী ফুড টেস্টিং ল্যাব তৈরি হলে ফুড সেফটির বিষয়টি নিশ্চয়তা পাবে।
উল্লেখ্য, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ফুড সেফটির কোন ল্যাব ছিল না। যে কারণে খাদ্য নিরাপত্তা বা ফুড সেফটি নিয়ে কোনো তদন্ত করা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছিলো না। আসানসোলে ল্যাব তৈরি হলে, এবার এখানেই পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তদন্তে কোন গাফিলতির অভিযোগ মিললে, সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে নেওয়া যাবে আইনানুগ ব্যবস্থাও। জানা গেছে, এর আগে খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হলে, তা বর্ধমান বা কলকাতায় পাঠানো হতো। তার রিপোর্ট আসতেও সময় লাগতো। এবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার এই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে।