আসানসোলে বিজেপির লিট্টি চোখা কর্মসূচিতে হাজির একঝাঁক হেভিওয়েট মন্ত্রী ও সাংসদ, রাম মন্দিরকে সামনে রেখে বাজলো লোকসভা নির্বাচনের ঘণ্টা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ বিজেপির রাজ্য কমিটির নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় উদ্যোগে বুধবার রাতে আসানসোলের বার্ণপুরের রবীন্দ্রনগর উন্নয়ন সমিতিতে ” লিট্টি চোখা কর্মসূচি” তে হাজির একঝাঁক হেভিওয়েট মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক ও নেতা। এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে বলতে গেলে আসানসোলে লোকসভা নির্বাচনের ঘন্টা বাজিয়ে দিলেন পদ্ম শিবিরের নেতারা।
এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতা বাংলার ইনচার্জ বা প্রভারি মঙ্গল পান্ডের খোলাখুলি হুঁশিয়ারি, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতরা জেলে যাবে, তা সে একজন রাজা বা মন্ত্রী যে হোক না কেন। তার আরো মন্তব্য, রাম মন্দিরের বিরোধিতাকারীরা লোকসভা নির্বাচনে দেশের মানুষদের থেকে জবাব পাবেন। যারা অন্য দেশের ঐতিহ্য, বিশ্বাস ও চিন্তাধারাকে মানেন, তারাই রাম মন্দিরের বিরোধিতা করছেন।
তিনি রাম মন্দির প্রসঙ্গে তিনি পুরনো ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেন। পূর্বপুরুষেরা যারা গত ৫০০ বছর ধরে রাম মন্দিরের জন্য লড়াই করেছেন, তারা আগামী ২২ জানুয়ারী রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠার পূণ্য লগ্নে পবিত্র স্থানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। তিনি বলেন, আমরা তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সাক্ষী থাকব। আমরা এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের অংশীদার হবো।
আমরা আমাদের ইতিহাসকে নিয়ে গর্বিত করছি। তাই কিছু রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা সমস্যায় পড়েছেন। তারা অনুভব করছেন এদেশের পৌরাণিক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি আবারও শক্তিশালী হচ্ছে। যা তারা সহ্য করতে পারছে না। তিনি আরও বলেন, এই দেশটি একটি গণতান্ত্রিক দেশ। কাকতালীয়ভাবে এ বছর দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আরো একটি লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে, বিজেপি নেতা মঙ্গল পান্ডের আসানসোল সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলের তরফে। কারণ মোদি জমানায় আসানসোল লোকসভা আসনটি একবার নয়, দুবার বিজেপির দখলে ছিলো। কিন্তু বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় দলবদল করে তৃনমুল কংগ্রেসে যোগদান করে। তারপর উপনির্বাচনে আসানসোল লোকসভা বিজেপির হাতছাড়া হয়।
এদিনের এই কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা সতীশ ধুন্দ, দুই সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ, দুই বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, ডাঃ অজয় পোদ্দার, বিজেপি রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় ও দেবতনু ভট্টাচার্য জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। তারা বলেন, আসানসোল এমন একটি জায়গা আছে যেখানে শুধু বিহারের নয়, উত্তরপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডেরও মানুষ বাস করে। লিট্টি চোখা এমন একটি খাবার, যা শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। যা বাংলার মানুষেরাও উপভোগ করেন। আমরা সবাই আনন্দের সাথে তা খাই।