RANIGANJ-JAMURIA

প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছবে জল, জল প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন এডিডিএএর চেয়ারম্যান

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : এ যেন ঠিক প্রদীপের নিচেই অন্ধকার থাকার মতই অবস্থা, অন্তত দামোদর নদ তটবর্তী এলাকায় অবস্থিত তিরাট গ্রামকে লক্ষ্য করে তেমনটাই মনে করা হয়। পূর্বে জলের জন্য হাহাকার অবস্থা দেখলে ঠিক এমনটাই মনে হওয়ার স্বাভাবিক। দামোদর নদের একেবারে গা ঘেসেই রয়েছে রানীগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা হিসেবে পরিচিত, তিরাট পঞ্চায়েত।, আর দুঃখের বিষয় হল, যে এলাকা দিয়েই বিভিন্ন অংশে জল সরবরাহের জন্য পাইপলাইন নিয়ে যাওয়া হয়েছে দামোদরের জল সরবরাহের জন্য সেই অংশেরই বেশ কিছু এলাকার ওপর দিয়েই, আর সেখানেই বহুবার, বহু গ্রামবাসী নিজেদের বাড়িতে জল না পাওয়ায়, বারংবার বিক্ষোভ আন্দোলন কর্মসূচিতে শামিল হয়েছেন। বহুবার পঞ্চায়েত কার্যালয় ঘেরাও করে চলেছে বিক্ষোভ।

এ সকল বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেও জল সমস্যার বিষয় গুলি বারংবার জানানো হয়েছে জল সরবরাহের বিভিন্ন দপ্তরে, কিন্তু দীর্ঘ কয়েকটা বছর এ সকল বিক্ষোভ আন্দোলন হয়ে গেলেও তা নিয়ে কোন স্থায়ী সমাধান করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এসব বিষয়গুলিকে মাথায় রেখেই এবার সকলের বাড়ি বাড়ি জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে, জল জীবন মিশন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিটি ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হল।

এ বিষয়ের প্রেক্ষিতে জল বিভাগের আধিকারিকদের বিশেষ তৎপরতার পর, প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয় করে একটি ওভারহেড ট্যাংক গড়ে তোলার পর, আরো লক্ষ লক্ষ টাকা আনুষাঙ্গিক খরচ করে জল সরবরাহের জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হল জারি অঙ্গ হিসেবে এবার এই জল প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে শিলার আবরণ উন্মোচন এর মধ্যে দিয়ে প্রকল্পের শুভ সূচনা করলেন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরী, অন্যদের মধ্যে ছিলেন বাদল মিশ্র, প্রধান শিবদাস চ্যাটার্জি। এদিন উদ্বোধক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের খুটিনাটি বিষয়গুলি জেনে নেন পি এইচ ই আধিকারিক এর কাছে।

পঞ্চায়েতের প্রধান শিবদাস চ্যাটার্জি জানিয়েছেন খুব দ্রুত জল সরবরাহের কাজ করবে এই প্রকল্পটি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যন্ত আদিবাসী গ্রামগুলি থেকে শুরু করে, যে সকল গ্রামের জলের স্তর পৌঁছতে, দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তা, এই প্রকল্পের রূপায়নের পর অনেকটাই মিটবে বলেই আশাবাদী তিনি। জানা গেছে কোটি টাকা ব্যয় করে ওঠা এই প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকার ১০ টিরও বেশি আদিবাসী গ্রাম ও তার সাথেই ওই পঞ্চায়েতে অবস্থিত তিরাট, হাড়াভাঙ্গা, ডামরা কোলিয়ারির ও কুমারডিহা গ্রাম থেকে শুরু করে, অন্য সকল আদিবাসী পাড়ায় পৌঁছে যাবে এই জলপ্রকল্পের জল। যার দ্বারা প্রায় ৩০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন বলেই দাবী করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। এখন দেখার এই সমস্ত প্রকল্প কত দ্রুত বাস্তবায়িত হয় ও এই সকল এলাকায় জল সমস্যা কিভাবে চিরতরে দূর হয়, তা নিয়েই এখন আশায় বুক বাঁধছেন সকলে।

Leave a Reply