ASANSOL

আসানসোল ইএসআই হাসপাতালের ঘটনা, রোগীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ, ক্ষুব্ধ পরিবারের সদস্যরা

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল : আসানসোল ইএসআই হাসপাতালের আইসিইউতে এক রোগীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠলো। বৃহস্পতিবার বিকেলের এই ঘটনার পরে মৃত রোগীর ছেলে সহ পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান। তাতে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছায়। পুলিশ অফিসারের সামনেই মৃত রোগীর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন।

আসানসোলের কুলটি থানার সীতারামপুরের সুভাষ পাড়ার বাসিন্দা মৃত রোগীর নাম স্বপন কুমার সেন (৬৫)। বাবার মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে, এমন কথা জানিয়ে সৌরভ সেন হাসপাতালের সুপার ডাঃ অতনু ভদ্রকে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সুপার তাকে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে সৌরভ সেন এদিন বিকেলে হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে দাবি করেন।


জানা গেছে, গত সোমবার কুলটি থানার সীতারামপুরের সুভাষ পাড়ার বাসিন্দা বৃদ্ধ স্বপন কুমার সেনকে হৃদরোগের উপসর্গ নিয়ে আসানসোল ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিলো। পরে তাকে ঐ হাসপাতাল চত্বরেই একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের আইসিইউতে রেফার করা হয়। সেখানেই এদিন দুপুরে তার মৃত্যু হয়। রোগীর মৃত্যুর কারণ হিসাবে পরিবারকে হাসপাতালের তরফে ” ম্যাসিভ হার্ট এ্যাটাকে”র কথা বলা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই এই কথা জানার পরে রোগীর পরিবারের সদস্যরা ক্ষুব্ধ হন। তারা হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতাল কতৃপক্ষের তরফে আসানসোল উত্তর থানায় খবর দেওয়া হলে, পুলিশ আসে।


মৃত রোগীর ছেলে সৌরভ সেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, বাবার কোন চিকিৎসা এই হাসপাতালে করা হয়নি। বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু তারজন্য ইকোকার্ডিওগ্রাম করা হয়নি। এই পরীক্ষা করার জন্য একজনকে চিকিৎসককে ডাকা হয়েছিলো। তিনি গত তিনদিনে আসেননি। বাবা তিনদিন এখানে ছিলেন। তারমধ্যে বাবা একা বাথরুমে গেছেন। সকালে বাবাকে দেখি, তখন মনে হয়েছে, সুস্থ আছেন। বিকেলে আমাদেরকে বলা হয়, দুপুরে বাবা মারা গেছেন। কারণ হিসাবে বলা হয়, ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে মাত্র ১০ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সৌরভ সেনের দাবি, যখন এখানে পরিকাঠামো নেই, চিকিৎসক নেই, এই রোগের চিকিৎসা করার ক্ষমতা নেই, তাহলে রোগীকে তিনদিন ধরে রেখে কেন দেওয়া হলো? রোগীর পরিবারকে তো জানানোর প্রয়োজন ছিলো। তিনি বলেন, সুপারকে গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছি। সুপার দেখছেন বলে আমায় জানিয়েছেন। কিন্তু কতদিন?
মৃত রোগীর পরিবারের অভিযোগ নিয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষ কোন মন্তব্য করতে চায়নি।
পুলিশ জানায়, আসানসোল ইএসআই হাসপাতালে রোগী মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের তরফে তা বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *