RANIGANJ-JAMURIA

রানীগঞ্জে চতুর্থ দফায় চুরি করতে গিয়ে দুই চোরকে হাতেনাতে ধরল পুলিশ

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ :  চোরের চুরির দাপটে, দীর্ঘ এক মাস অতিষ্ঠ থাকা পুলিশ এবার, চোরের চুরির ঘটনা ঘটানোর সময় সতর্ক থাকায় দুই চোরকে হাতেনাতে ধরে ফেলতে সক্ষম হলো পুলিশ।
জানা গেছে রানীগঞ্জের নিমচা ফাঁড়ি এলাকায় পৃথক স্থানে তিনটি দোকানে, ডিসেম্বর মাসের ৩ পৃথক দিনে, দোকানে থাকা মোবাইল ল্যাপটপ সহ বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রী, রাতের অন্ধকারে এসবেস্টেস ছাদ ফুটো করে, দোকানের মধ্যে ঢুকে, চুরির ঘটনা ঘটিয়ে চুরি করেছিল  কিছু মোবাইল ল্যাপটপ সহ বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রী, অবশেষে পুলিশি তৎপরতায় এবার চতুর্থ দফায় চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ল দুই চোর। উদ্ধার হল বেশ কিছু চুরি যাওয়া সামগ্রী।


ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় শীতের রাতের নির্জনতার সুযোগে ও রাস্তার মধ্যে জলের পাইপ লাইন বসানোর জন্য মেশিনের শব্দ কে কাজে লাগিয়ে, চুরির ঘটনা ঘটাত এই দুই চোর। এবার চতুর্থ দফায় চুরি করতে গিয়ে সে পুলিশের নজরদারির সময় হাতেনাতে ধরা পড়লো। পরে ধৃত ওই দুই নাবালক চোরকে জিজ্ঞাসা বাদ করতেই সবকটি চুরির ঘটনার কথা স্বীকার করল বছর ১৬ র ওই দুই দুষ্কৃতী। আর তাদের তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার হল বেশ কিছু চুরি যাওয়া সামগ্রী। জানা গেছে গত দু মাস ধরে তিনটি পৃথক অংশে এসবেস্টেস ছাদ ফুটো করে, বারংবার চুরির ঘটনা ঘটতে থাকে, তার দাপটে পুলিশের নাজেহাল অবস্থা হয়। চোরকে ধরতে হন্যে হয়ে দিকে দিকে তল্লাশি চালায় পুলিশ। প্রতিরাতে শুধু রাস্তায় নয়, বহুবার বাড়ির ছাদের উপরেও নজর রাখতে হয় পুলিশকে। আর সেই নজরদারির পরই এবার মিলল সফলতা। এবার সেই চোর জে কে নগর বাজার এলাকায় এক দোকানে টিনের চালা কাটতে গিয়ে পড়ল পুলিশের নজরে।

গভীর রাত্রে চুরির ঘটনার বিষয় জানতে পেরে, পুলিশ তড়িঘড়ি ওই দোকানের চারিদিকে ঘিরে ধরে, পাকড়ে ফেলল ওই দুই নাবালক কে। এর পরই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ এর পরেই, একের পর এক চুরির ঘটনা কিভাবে তারা সংঘটিত করেছে তা স্বীকার করে তাদের নিজের বক্তব্যে, বলেই জানা গেছে। রানীগঞ্জের নিমচা ফাঁড়ির আইসি মলয় দাসের নেতৃত্বে,ও নিমচা ফাড়ির এ.এস.আই রবিনসন মন্ডলের এই বিশেষ তৎপরতার বিষয় লক্ষ্য করে, রাজিগঞ্জ থানায় সদ্য দায়িত্ব নেওয়া ইন্সপেক্টর সুসীম গঙ্গোপাধ্যায়, এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে, নিমচা ফাঁড়ি পৌঁছে তদন্তের গতিপ্রকৃতি লক্ষ্য করলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *