বড়দই পুকুর আবর্জনা মুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়ল সন্ত নিরঙ্কারী মিশনের দল
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : প্রতিজ্ঞা তাদের, “এ পৃথিবীকে, সকলের বাসযোগ্য করে রাখবো আমরা”, স্বচ্ছ পরিশুদ্ধ জল পাক সকলেই। এই প্রচেষ্টাকেই কার্যকর করতে, আবর্জনায় ভরে ওঠা বড়দই পুকুর, নামের বিশাল জলাশয়কে, আবর্জনা মুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়ল এলাকার একদল যুবতী। মহিলা, পুরুষদের সাথেই নিজেদের পড়াশোনার সময় থেকে একটু সময় বের করে।কিছু ছাত্রী, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফাঁকেই বাড়ির পাশেই থাকা অপরিচ্ছন্ন জলাশয় কে পরিষ্কার করতে ঝাঁপিয়ে পড়ল। দীর্ঘ একটা সময় ধরে যে পুকুরের চারপাশ, আবর্জনা স্তূপে ভরে উঠেছিল, তা দু’ঘণ্টার কড়া পরিশ্রমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে, সেখানে ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে পুকুর চত্বরের পাড় গুলিকে আবর্জনা মুক্ত করল তারা। উদ্দেশ্য একটাই প্রজেক্ট অমৃত ধারার মাধ্যমে, সন্তু নিরঙ্কারী মিশনের সকল সদস্যদের সাথেই, সদ্ গুরু মাতা সুদীক্ষা জী মহারাজের কথাকে কার্যকর করে, স্বচ্ছ জল, স্বচ্ছ মন এই বার্তাকে সকলের মাঝে তুলে ধরতে, নেওয়া হল অভিনব উদ্যোগ। জানা যায় নিরঙ্কারী মিশনের পূর্ব প্রজন্ম, হরদেব সিং মহারাজজি-র ফেব্রুয়ারি মাসে জন্মদিন। সে উপলক্ষে, তারা প্রতিবছরই এই সময়কালে, নানা বিধ-সমাজ সেবামূলক কর্মসূচি পালন করেন। সে মতই এবার তারা প্রজেক্ট অমৃত মিশন পালনের মধ্যে দিয়ে, জলকে অমৃত সম বলে তুলে ধরার উদ্দেশ্যেই, যুব সদস্যদের নিয়ে জলকে স্বচ্ছ করার অভিযানে নামলেন।




সকাল ন’টা থেকে শুরু তাদের এই স্বচ্ছ জলের অভিযানে, প্রায় দু’ঘণ্টার কঠোর পরিশ্রমে, তারা পুকুরের মধ্যে থাকা বিভিন্ন আবর্জনার সাথেই, বছরের বিভিন্ন সময়ে পুকুরে বিসর্জিত হওয়া বিভিন্ন দেবী, দেবতার খড়ের কাঠামো, এদিন তুলে ফেললেন, পুকুরের মাঝ থেকে। যে কর্মকাণ্ড টা পৌরসভার করতে সময় লাগে দীর্ঘ দিন, তা তারা কয়েক মুহূর্তে করেই, প্রায় ১২ ট্রাক্টর আবর্জনা আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই জড়ো করে আবর্জনা মুক্ত করলেন, পুকুরের পাড়। যা দেখে খুশি ওই ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলার তথা আসানসোল কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ, দিব্যেন্দু ভগত। তিনি এদিন জানান, এই পুকুরকে যাতে আরো স্বচ্ছ ও সুন্দর রাখা যায়, তার জন্য তারা কর্পোরেশনের থেকে আবর্জনা মুক্ত এলাকা হিসেবে এই এলাকা গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেবেন। আর তার সাথেই, বিভিন্ন অংশে সচেতনতামূলক ব্যানার লাগিয়ে, মানুষজনদের সচেতন করবেন। কয়েক মুহূর্তের এই কর্মসূচিতে শামিল থাকা যুব সদস্যদের সাথেই, প্রবীণ সদস্যরাও বেজায় খুশি, তাদেরও দাবি সকলকেই এগিয়ে এসে জলকে স্বচ্ছ রাখতে বিশেষভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। তবেই আমরা সুন্দর, সুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলতে পারব। এবার দেখার ছাত্রীদের এই পরিছন্নতা কতদিন বজায় রাখেন এলাকাবাসী। আর কতদিনেই বা স্বচ্ছ থাকে রানিগঞ্জের বড়দই পুকুর, তা অবশ্য বলবে সময়।
- আসানসোল পুরনিগমে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকী পালন
- আসানসোলে ডিওয়াইএফআইয়ের উদ্যোগে রক্তদান, চক্ষু ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির
- इंटक यूथ का कपल रक्तदान शिविर, मंत्री ने किया उद्घाटन
- Asansol : घाघरबुढ़ी मंदिर के पास भैंस बचाने के चक्कर में डूबा व्यक्ति, तलाश जारी
- আসানসোলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড পুড়ে মৃত্যু কয়লা ব্যবসায়ী, শাশুড়ি এবং শ্বশুরের, অগ্নিদগ্ধ স্ত্রী ভর্তি হাসপাতালে