RANIGANJ-JAMURIA

রানীগঞ্জে কি আরো একটি কারখানা বন্ধের মুখে ?  জাতীয় সড়ক অবরোধ করে, দীর্ঘ বিক্ষোভ

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী রানীগঞ্জ : শেষমেষ কি তাহলে বন্ধ হয়ে গেল পেপার মিল ? রানীগঞ্জে কি আরো একটি কারখানা বন্ধের মুখে ? তাহলে কি জাতীয় সড়কের অবরোধ করে,দীর্ঘ বিক্ষোভ আন্দোলন করেও কি আর শেষ রক্ষা হল না। অন্তত কলকাতায় শ্রমিক ভবনের বৈঠকে পেপার মিল চালানোর মত আর্থিক সামর্থ নেই, এই কথা জানিয়ে, এখন পেপার মিল তারা চালাতে পারবেনা, বলে সাফ জানিয়ে দিয়ে, বর্তমানে পেপার মিলের দায়িত্বে থাকা মিল কর্তৃপক্ষ, সেই বৈঠকে এই বার্তা দিলেন। এই ঘোষণার পরই, যেন স্তব্ধ হয়ে পড়ল বল্লভপুর এলাকার হাজারো মানুষের কণ্ঠস্বর। পেপার মিল খোলার আন্দোলন যেন ব্যর্থ হয়ে গেল মুহূর্তে।

লোকসভা নির্বাচনের আগেই, এরূপ খবরে হাজার খানেক পরিবার আজ হতাশায় ডুবলো । রাজ্য সরকারের শ্রম দপ্তরের এক বৈঠকে, এই হতাশাকে অনেকটাই বাড়িয়ে তুলল, ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের সেই কথোপকথন জেনে, রাজ্যের শ্রম দপ্তরের মন্ত্রী, মলয় ঘটকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে, নিজের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল ও বিজেপিকে দুষলেন আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ তথা বাম শ্রমিক সংগঠন সিটু’র জেলা সম্পাদক, বংশ গোপাল চৌধুরী। এদিকে পেপার মিল বন্ধের বিষয় জানতে পেরে মঙ্গলবার বিকেলে পেপার মিল গেটে, বিক্ষোভ দেখাল বাম শ্রমিক সংগঠন সিটুর নেতাকর্মীরা। পরে তারা বল্লভপুর ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে, প্রতিবাদে সামিল হল।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে বল্লভপুর পেপার মিল খুলতে হবে, পেপার মিলে পুনরায় উৎপাদন চালু করতে হবে মিল কর্তৃপক্ষকে। এর সাথেই তারা দাবি করেন এই পেপার মিল খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে তা ঠিক, তবে মিল কর্তৃপক্ষ এখানে থেকে চুপিসারে যন্ত্রাংশ সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে তা কিন্তু কখনোই মেনে নেওয়া যাবে না। তাদের দাবি শ্রমিকদের প্রাপ্য বকেয়া মিটিয়ে, পেপার মিলকে পুনরায় চালু করতে হবে। যা নিয়ে আগামীতে বৈঠক করে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি করেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *