DURGAPUR

সাইকেল চেপে বাজারে তৃণমুল প্রার্থী, সঙ্গী মন্ত্রী ও জেলা সভাপতি, কিনলেন সবজি ও মাছ

বেঙ্গল মিরর, দুর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্যতম কেন্দ্র হলো দূর্গাপুর বর্ধমান লোকসভা। সেই বর্ধমান দুর্গাপুর আসনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমুল কংগ্রেসের হাতের তাস হলো প্রার্থী প্রাক্তন ক্রিকেটার “ কীর্তি আজাদ”। নির্বাচন দিন ঘোষণা হয়ে গেলের রাজ্য প্রধান তিন বিরোধী দল বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। বিজেপির প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে অনেকেই আছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে বর্তমান সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার এই কেন্দ্রে আবার প্রার্থী হওয়ার সম্ভবনা নেই বললেই চলে। বড় কোন অঘটন না ঘটলে ইস্পাত নগরীর এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী লড়াইয়ে থাকবেন। কেননা, আসানসোলের জন্য সিপিএম ইতিমধ্যেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে।
সেই দিক থেকে বলতে গেলে, বিরোধীদের প্রার্থীর নাম এখনো ঘোষণা না হওয়ায় লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের একবারে শুরুতে এ্যাডভান্টেজ অবশ্যই ঘাসফুল।


ভোট ঘোষণার আগেই তৃণমুল প্রার্থী তথা ১৯৮৩ এর বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ প্রচারের মাধ্যমে নিজের পরিচিত সেরে রেখেছিলেন জনগর্জন সভাকে সামনে রেখে। এবার তিনি প্রার্থী হয়ে লোকসভা ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাকাপাকি থাকছেন ইস্পাত নগরীতে। বুধবার তিনি এসে পৌঁছান দুর্গাপুরে । আর বৃহস্পতিবার সকাল সকাল  তৃণমুল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন শাসক দলের প্রার্থী। সাইকেল চালিয়ে চন্ডীদাস বাজার আসেন কীর্তি আজাদ । সঙ্গে ছিলেন তৃণমুল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা। ইস্পাত নগরীর চন্ডিদাস মার্কেটে বাজার করার পাশাপাশি কীর্তি আজাদ সেরে নিলেন নিজের ভোট প্রচারও। নিজে দোকানিদের সবজি কিনলেন একেবারে বেছে বেছে। বাজারে টাটকা সবজি পেয়ে খুশি তিনি । পরে কীর্তি আজাদ মাছের বাজারে যান। জানা যায়, মাছ খুব প্রিয় কীর্তি আজাদের। তবে ইলিশ মাছ খাওয়ার সময় চোখে চশমা পড়ে নেন এক সময়ের দুঁদে ক্রিকেটার। কারন ইলিশের কাঁটা গলায় বিঁধে যাওয়ার ভয় থাকে।

আর চণ্ডীদাস মার্কেটে তাকে দেখতে পেয়ে হুড়োহুড়ি  পড়ে যায় বাজারে আসা সাধারণ মানুষদের মধ্যে । বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটারকে দেখে বেশ অবাক হয়েই যান অনেকেই। শহরের অস্থায়ী ঠিকানা থেকে সাইকেলে চালিয়ে যেভাবে বছর ৬৫ বছরের কীর্তি আজাদ বাজারে এলেন, তাতে বোঝা যায়, তিনি এখনো বেশ ফিট ও শারীরিক ভাবে সুস্থ আছেন। সাতসকালে চন্ডীদাস মার্কেটের সবজি বিক্রেতারা খুব খুশী পছন্দের ক্রিকেটারকে হাতের নাগালের মধ্যে পেয়ে। কীর্তি আজাদ তাদের সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলেন। তারা ভালো জিনিস তাকে দেন।


পরে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কীর্তি আজাদ বলেন, আমার বোলিংয়ের সামনে দাঁড়ানোর মতো বিরোধীদের কোন ব্যাটসম্যান। এবারে রাজ্যে তৃনমুল কংগ্রেস ৪২ এ ৪২ পাবে। বিজেপিকে তার কটাক্ষ, ২০২১ এর বিধান সভা নির্বাচন বলছিলো ২০০ পার। কিন্তু ১০০ এর আগে আউট হয়ে যায়। কিন্তু তৃনমুল কংগ্রেস ২০০ পার করে যায়। এবারেও তাই হবে। এই প্রসঙ্গে তার দাবি, এই মুহুর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কারোর নেই।

Leave a Reply