বার্ণপুরে পড়শির বাড়ি থেকে কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগ পরিবারের
বেঙ্গল মিরর, বার্ণপুর ও আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ পড়শির বাড়ি থেকে এক যুবকের গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হলো। শুক্রবার সকালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্ণপুরের শান্তিনগরের সাউ রোডের জোড়া মন্দির এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত যুবকের নাম জিৎ পাসোয়ান (১৯)। পরিবারের তরফে এই ঘটনাকে খুন বলে দাবি করে এদিন সকালে হিরাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিন দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে কিশোরের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বার্ণপুরের শান্তিনগরের সাউ রোডের জোড়া মন্দির এলাকার এক বাসিন্দা তার বাড়ির চাবি কয়েকজন যুবককে দিয়ে যায়। তাদের মধ্যে জিৎ পাসোয়ান ছিলো। সে ঐ যুবকদের সঙ্গে রাতে ঐ বাড়িতে শুতে যেতেন। বৃহস্পতিবার রাতেও জিৎ ঐ বাড়িতে শুতে যায়। তার মধ্যে এক যুবক রাত এগারোটার পরে টোটো নিয়ে ভাড়ায় চলে যায়। রাত দুটো নাগাদ সে ঐ বাড়িতে শুতে আসে। কিন্তু জিৎ দরজা খোলেনি বলে জানা গেছে। এরপর ঐ যুবক নিজের বাড়িতে শুতে চলে যায়।
শুক্রবার সকালে জিতের বাড়ির লোকেরা তাকে ফোন করে। কিন্তু সে ফোন তোলেনি। এরপর ঐ যুবককে ফোন করা হলে, সে বলে রাতে ঐ বাড়িতে শুতে গেছিলাম। কিন্তু জিৎ দরজা খোলেনি। এরপর জিতের বাড়ির লোকেরা ঐ বাড়িতে গিয়ে দেখেন, ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে হিরাপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ঐ কিশোর কোন কারণে মানসিক অবসাদ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।
তবে পুলিশের এই দাবি মানতে চাননি মৃত কিশোরের পরিবারের সদস্যরা। মৃত কিশোরের ছোট কাকা অভিজিৎ পাসোয়ান বলেন, ভাইপো আত্মহত্যা করতে পারেনা। কারণ, যে সিলিং ফ্যানে ও গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছিলো, তা ঠিক ছিলো। এর পাশাপাশি ভাইপোর পা অনেকটাই নিচে ছিলো। এইসব দেখে মনে হচ্ছে, তাকে খুন করা হয়েছে। তার আরো দাবি, হোলির সময় এক যুবকের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিলো। সে হুমকি দিয়েছিলো। হতে পারে, ঐ যুবক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
এই প্রসঙ্গে পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। আপাততঃ এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।