ডান্ডা হাতে প্রাতঃভ্রমণে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ, লড়াই করতে হলে আমার মতো ময়দানে থাকতে হয়
বেঙ্গল মিরর, দূর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ একদিন আগেই দূর্গাপুরের
ফুলঝোড়ে দূর্গাপুর বর্ধমানের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে “গো ব্যাক” স্লোগান শুনতে হয়েছে। এছাড়াও অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে রাজ্য বিজেপির এই দাপুটে নেতার। তাই কি এবার এইসব কিছু সামাল দিতে ডান্ডা হাতে? মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুরের এজোন পার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসা দিলীপ ঘোষকে এমন ছবিতে দেখা গেলো। যা নিয়ে অবশ্যই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ জনসংযোগ করেন। প্রাতঃভ্রমণকারীদের সাথে কথা বলেন ও তাদের সঙ্গে সেলফিও তোলেন।




দিলীপ ঘোষকে প্রাতঃভ্রমণে বেরোতে ডান্ডা হাতে নিতে হচ্ছে? এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, রাস্তায় অনেক অবাঞ্ছিত লোক সামনে চলে আসছে। তাই আমাকে অনেকে এই পরামর্শ দিয়েছেন। এটা দেখে যদি কোন কাজ হয়। যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে তাদের জন্য এই ডান্ডা। আর বেশি কিছু নয়।
এদিন তিনি তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। এই প্রসঙ্গে নাম না করে তিনি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে ” কাকা ” বলে ও নির্বাচন কমিশনকে ” মেসো” বলে সম্বোধন করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে লড়াই করতে হলে আমার মতো ময়দানে থাকতে হয়। কাকা ও মেসোর কাছে গিয়ে কোন লাভ নেই। কারণ মানুষ ভোট দিয়ে তার পছন্দসই প্রার্থীকে জেতাবেন। আর গত ১২ বছরে রাজ্যে তৃনমুল কংগ্রেস কি করেছে, তা সবাই দেখেছেন। দূর্নীতি ও চুরি হলে তো তার তদন্ত হবেই। তা বলে কাকা ও মেসোর কাছে গিয়ে কি হবে? যদি কিছু মনে হয়, তাহলে তো আদালতে দরজা খোলা আছে। তার কটাক্ষ, তৃনমুল কংগ্রেসের নেতারা তো রাজভবনকে বিজেপির অফিস ও নির্বাচন কমিশন বিজেপির কথায় চলছে বলেছিলো। এখন আবার তাদের কাছেই তারা যাচ্ছে।