ASANSOL

এবারেও আসানসোলের মানুষ নতুন রেকর্ড করবেন, আত্মবিশ্বাসী শত্রুঘ্ন সিনহা

তৃনমুল কংগ্রেস হিন্দি প্রকোষ্ঠ’র নির্বাচনী সভা

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে শুক্রবার আসানসোল কেন্দ্রের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে তৃণমূল কংগ্রেস হিন্দি প্রকোষ্ঠ পশ্চিম বর্ধমান জেলার পক্ষ থেকে এক সভার আয়োজন করা হয়।  আসানসোলের তৃণমূল  প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা, মন্ত্রী মলয় ঘটক, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ও পাণ্ডেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, বিধায়ক হরেরাম সিং, ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, সিন্টু ভূঁইয়া, মনোজ যাদব সহ হিন্দি সেলের অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।


এই সভায় রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ৩৪ বছরে বাম জমানায় এই রাজ্যের হিন্দিভাষী ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার জন্য হিন্দিতে প্রশ্নপত্রের দাবি ছিলো। কিন্তু তারা তা পায়নি ও এই ভাষায় প্রশ্ন পত্র ছিল না। বাংলা ও ইংরেজিতে প্রশ্নপত্র হত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে রাজ্যে তৃণমূলের সরকার আসার পর শুধু হিন্দিতে প্রশ্নপত্র নয় সেই সঙ্গে গত ১৩ বছরে এই জেলায় ৬৫ টি হিন্দি স্কুল তৈরি হয়েছে। এখানে হিন্দি ভাষার কলেজ তৈরি হয়েছে। আমাদের রাজ্যে হাওড়াতে হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। তিনি আরো বলেন  বিজেপি শাসিত অসম বা গুজরাটে হিন্দিভাষীদের জন্য কোন হিন্দি স্কুল বা পড়ার ব্যবস্থা নেই।  বাম জমানায় এই রাজ্যে মাত্র ৯ টা মেডিকেল কলেজ ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে মাত্র ১২ বছরে তা বেড়ে ৩৫ হয়েছে। ১১ টি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। এখন তা ৪৩ হয়েছে। এরাজ্যে হিন্দি ভাষায় কেউ কথা বললেও তারা আসলে বাংলারই মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত প্রকল্পই সব ধর্ম, সব ভাষা ,সব জাতির মানুষের জন্য। তিনি বলেন যদি নরেন্দ্র মোদি আবার প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে কিন্তু দেশে আর সংবিধান বলে কিছু থাকবে না । ভোট ব্যবস্থাটাও হয়তো উঠে যাবে। সরকারিভাবে কোন শিল্প বা কয়লা খনি থাকবে না সব বিক্রি হয়ে যাবে। সেজন্য এবারের ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী মলয় ঘটক।


     সভায় জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, এখন দেশে এমন একটা দলের সরকার তারা যে শুধু সাম্প্রদায়িক এমনটা নয়। এই গোটা দেশে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ তৈরী করেছে। কোন রাজ্যে হিন্দু মুসলমান, কোন রাজ্য বাঙালি বিহারি করে রাজনীতিতে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। আর আমাদের দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারই বিরোধিতা করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে আমরা সবাই এক। দলের সৈনিক হিসেবে এটাই প্রচার করতে হবে।


এই সভার পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, বিজেপির পক্ষ থেকে যাকে প্রার্থী মনোনীত করা হয়েছে তা বিজেপি ও প্রার্থীদের মধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমি  এ বিষয়ে আর কোন মন্তব্য করতে চাইনি। প্রতিপক্ষের ব্যক্তিগত কিছু বিষয়ে আক্রমণ আগেও করিনি। আজও আক্রমণ করবে না। তিনি বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বীকে শুভ কামনা জানিয়েছেন। একইসাথে তিনি আস্থা ব্যক্ত করেছেন যে, গত দুই বছরে একজন সাংসদ হিসাবে তার কাজ এবং আসানসোলের প্রতি তার স্পষ্ট উদ্দেশ্য বিবেচনা করে আসানসোলের মানুষ আবারও একটি নতুন রেকর্ড তৈরি করবেন। তারা আমাকে নির্বাচিত করবেন। তিনি আরো বলেন, সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া যদি একাধিকবার সাংসদ হয়ে থাকেন, তাহলে আমিও পাঁচবার সাংসদ এবং দুইবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাই আমি জানি যে জনগণের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ আমার সঙ্গে রয়েছে। আর আসানসোলের মানুষ তো আমার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন । তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের অন্যতম একজন জনপ্রিয় ও জনপ্রিয় নেত্রী। দেশের প্রথম প্রার্থী হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করেছেন তিনি। এখানকার জনগণ তাদের বিশ্বাস পুনরায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *