ASANSOL

আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা পানীয়জল, দূষণ : এসএস আলুওয়ালিয়া

দল ঐক্যবদ্ধ, একজোট নেতাদের নিয়ে বার্তা বিজেপি প্রার্থী এসএস আলুওয়ালিয়ার.

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ( SS Ahluwalia ) দল ঐক্যবদ্ধ। একজোট নেতাদেরকে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে করে বার্তা দিলেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া। আসানসোলের সেনরেল রোডে একটি হোটেলের কনফারেন্স হওয়া এই সাংবাদিক সম্মেলনে তার সঙ্গে ছিলেন আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়,  কুলটির বিধায়ক ডাঃ অজয় পোদ্দার, আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র বিজেপি রাজ্য নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি, রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, তাপস রায় সহ বিজেপি নেতারা।

সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি প্রার্থী জানান, আমি রানিগঞ্জের জেকে নগরের ছেলে। সেখানে আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। কিন্তু এরপর নানা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে আমাকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাংসদ  হয়েছি। গত ১০ বছর আমি এই বাংলার দুটি কেন্দ্র থেকে জিতে দুবার সাংসদ হয়েছি। আমি খুশি যে  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির জাতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা আমাকে নিজের জন্মস্থান থেকে এবারে প্রার্থী করেছেন। নাম ঘোষণা করার পর থেকে  আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছি। মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যাগুলি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি। যা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে তা হলো পানীয়জল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিটি বাড়িতে কলের জল সরবরাহ করার একটি প্রকল্প করেছেন। যা সম্পূর্ণরূপে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও, আজ বাংলা এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের এমন অনেক এলাকা রয়েছে যেখানে মানুষের বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছায় না।

আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের আরও একটি সমস্যা আছে, যা নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তা হলো দূষণের সমস্যা। এই দূষণ রোগ হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি নিজেই গত কয়েকদিনে এই দূষণের মুখোমুখি হয়েছি। এর থেকে আমি বুঝতে পেরেছি যে এখানকার মানুষ যে অসুবিধায় রয়েছে তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ দায়ী। কারণ প্রতিটি কারখানাকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত করতে হয়। পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড থেকে সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের কাছে রিপোর্ট পাঠায়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ প্রতিটি কারখানাকে অনুমতি দেয়। কিন্তু এখানে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কেন্দ্রকে ভুল তথ্য দিচ্ছে।


সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই এলাকার ধস ও পুনর্বাসন প্রকল্প নিয়ে বিজেপি প্রার্থী বলেন, আমি জেকে নগরের বাসিন্দা। সেখানেই জন্মগ্রহণ করেছি। তাই ধস আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। জেকে নগরে এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে আমার জন্মের পরে মাটির নিচ থেকে ধোঁয়া বার হচ্ছে। আজও বার হচ্ছে। সুরেন্দ্র সিং আহলুওয়ালিয়া বলেন, জিতে  সাংসদ হলে অবশ্যই এই সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করবো। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ধস ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মানুষের পুনর্বাসনের জন্য কেন্দ্র সরকারের বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মানুষ তা পাননি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এই টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ করা হলেও যে প্রতিষ্ঠানের এই কাজটি করার কথা ছিল, তাদেরকে দিয়ে করানো হচ্ছে না। রাজ্য সরকার তার দায়িত্ব দিয়েছে আবাসন দপ্তরকে। পরে এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *