DURGAPUR

দূর্গাপুরে বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে, অস্বীকার তৃণমূল নেতৃত্বের

বেঙ্গল মিরর, দূর্গাপুর,  চরণ মুখার্জী  ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠলো। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন অতুল বাগদি নামে ঐ বিজেপি নেতা। বৃহস্পতিবার মধ্য রাতের এই ঘটনা বলে জানা গেছে। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজার সংলগ্ন ট্রাঙ্ক রোড এলাকায়।
লোকসভা নির্বাচনের ১০ দিন আগে এই ঘটনায় অভিযোগের তীর অবশ্যই গেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দুষ্কৃতিদের দিকে। যদিও এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। অতুল বাগদি বিজেপির ১ নম্বর  মন্ডলের ভাইস প্রেসিডেন্ট।


ঘটনার সূত্রপাত, বৃহস্পতিবার মধ্য রাত দুটো বেজে পনেরো মিনিট নাগাদ। অভিযোগ, ভোলা পাসোয়ান নামে এক তৃণমূল কর্মী দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজার সংলগ্ন ট্রাঙ্ক রোড এলাকার বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলো। সেই খবর পেয়ে অতুল বাগদি নামে ঐ  বিজেপি নেতা বাড়ি থেকে ছুটে আসেন বেনাচিতি বাজার সংলগ্ন ট্রাঙ্ক রোডের কাছে। অভিযোগ, ঠিক তখনই ঐ গাড়ি থেকে অতুলকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ভোলা পাসোয়ান নামে ঐ তৃণমূল কর্মী ও তার দলবল ঐ গাড়িতে ছিলো। তারাই নাকি তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে ঐ বিজেপি নেতার দাবি। তিনি শুক্রবার সকালে দূর্গাপুরের দলের বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই ও দূর্গাপুর বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছেন। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান অতুল বাগদি। এরপর ঐ বিজেপি নেতা নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পুরো ঘটনা আপলোড করেন। তারপরেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুরে। ছুটে আসে এজোন ফাঁড়ির পুলিশ। ঐ বিজেপি নেতা শুক্রবার সকালে গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঐ এলাকায় একটি দোকানের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করেছে ।


এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে আর সন্ত্রাস মুক্ত ভোট করার দাবিতে শুক্রবার সকালে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নামেন ঐ এলাকার বিজেপি কর্মীরা। দেওয়া হয় স্লোগানও।
প্রসঙ্গতঃ,  দিন কয়েক আগে দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর এজোনের কনিষ্ক সাউথ রোডের কাছে অভিষেক রায় নামে এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতিরা বলে অভিযোগ উঠেছিলো। অভিষেক তৃণমূলের নমঃশুদ্র ও উদ্বাস্তু সেলের জেলা সভাপতি ছিলেন। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পরের দিন রাতেই অভিষেক রায়ের বাড়িতে বোমাবাজি হয়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান অভিষেক রায় ও তার পরিবার। সেই ঘটনার এখনো কোনো কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। সেই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠেছিলো। যদিও, সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।


ঐ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের বিজেপির ১ নম্বর মন্ডলের সহ সভাপতি অতুল বাগদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ একইভাবে শাসক দলের বিরুদ্ধে।
যদিও আগের ঘটনার মতোই, বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনাকে ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে পাল্টা দাবি তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের।
পুলিশ জানায়, অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।

Leave a Reply