ASANSOL

ইসিএলের প্রাক্তন জিএম ও দুই কয়লা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার, কয়লা পাচার মামলায় আরো তৎপর সিবিআই

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : কয়লা পাচার মামলায় কোমর বেঁধে নেমেছে সিবিআই । বলতে গেলে লোকসভা নির্বাচন মিটতেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সি। সিবিআই এবার কয়লা পাচার মামলায় ইসিএলের প্রাক্তন জিএম বা জেনারেল ম্যানেজার এবং দুই কয়লা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করলো ৷ ইসিএলের কুনস্তোরিয়া এরিয়াা প্রাক্তন জিএম অমিত কুমার ধরকে নিজাম প্যালেসে মঙ্গলবার ডেকে পাঠিয়েছিলো। সেখানে তাকে কয়েক ঘন্টা ধরে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার দুই কয়লা ব্যবসায়ী বাপি ঠাকুর ও বিদ্যাসাগর দাসকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাদেরকে একইভাবে নিজাম প্যালেসে সমন করে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। জানা গেছে, বাপি ঠাকুর আসানসোলের জামুরিয়ার কেন্দা এলাকার এবং বিদ্যাসাগর দাস রানিগঞ্জের বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ কয়লা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তিনজনকেই বুধবার সকালে কলকাতা থেকে এনে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। 

উল্লেখ্য, গত ২০ জুন এই মামলায় ইসিএলের জিএম নরেশ কুমার সাহা ও কয়লা ব্যবসায়ী অশ্বিনী কুমার যাদবকে গ্রেফতার করেছিলো সিবিআই। তাদের চারদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিলো। সেই রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সোমবার তাদেরকে আদালতে হাজির করানো হয়। সেদিন সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী তাদের জামিনের আবেদন নাকচ করে ১০ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৩ জুলাই। 
প্রসঙ্গতঃ, গত ২১ মে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে কয়লা চোরাচালান মামলায় চার্জ গঠন করার দিন ছিল। কিন্তু সেদিন ৩ আসামির অনুপস্থিতির কারণে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা যায়নি।  শুনানি শেষে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী আদেশ দেন, আগামী ৩ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ঐদিনই সিবিআইকে চার্জ গঠন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সিবিআইয়ের চার্জশিটে যাদের নাম রয়েছে, তাদের ওই দিন হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। উল্লেখ্য, এই মামলার চার্জশিটে ৪৩ জন আসামির নাম রয়েছে। এই মামলায় এখনো পর্যন্ত মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *