গণতন্ত্রের টুটি চেপেছে তৃণমূল : মোঃ সেলিম
বেঙ্গল মিরর,চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : রাজ্যের চারটি আসনে ফল ঘোষণার পরেই এবার রানীগঞ্জের গির্জা পাড়ায় অবস্থিত, সিপিএমের জেলা কার্যালয়ে, শনিবার এক সাংগঠনিক বৈঠকের মাঝে, সাংবাদিক বৈঠক করে, তৃণমূল ও বিজেপিকে দুষলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোঃ সেলিম। তার দাবি আজ পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শুরু করে, সাধারণ নির্বাচনে মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। আর এজন্য একটা বড় অংশের ভোটার ভোট দিচ্ছে না। আবার অনেকে ভোট দিতে গেলেও ভোট দিতে পারে না। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করা হয়েছে । এই লোকসভা নির্বাচনেও রাণীগঞ্জ থেকে রানাঘাট, সর্বত্র ভোট লুটের সময়, ভোট চলাকালীন নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানানো হলেও, নির্বাচন কমিশন নিরব থেকেছে।
তার দাবি এই ভোটে মিডিয়া, সবুজ ঝড় বলে শাসকদের পক্ষে প্রচার করলেও, আদপে এটা তৃণমূল গণতন্ত্র কে হত্যা করেছে। তার দাবি আজ তৃণমূল গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরেছে। আর এর ফলে এই নির্বাচনে, পশ্চিমবঙ্গে মানুষের রায় প্রতিফলিত হয়নি। দাবি এবারের লোকসভা নির্বাচনে অনেকটা সফল ইন্ডিয়া ব্লক। চারিদিকে বিজেপি বিরোধী মনোভাব ফুটে উঠেছে । একই সাথে তিনি
আম্বানিদের অনুষ্ঠানে মমতার উপস্থিতি প্রসঙ্গে বলেন, মমতা আগেই আম্বানি, আদানিদের কাছে বিক্রি হয়েছে। ইলেক্টোরাল বন্ডের যে টাকা, তার মাধ্যমে। ডেউচা, পাচামির খনি দেওয়ার তৎপরতা তা অনেকটা স্পষ্ট হয়েছে। তিনি এদিন হতাশার সাথে বলেন, দেশের একদিকে দারিদ্র, অপুষ্টি, কাজের অভাব, জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে। মোবাইলের খরচ বাড়ছে, আর অন্যদিকে হাজারো কোটি টাকার মোচ্ছব হচ্ছে।
তৃণমূলের দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন এলাকায় লোকে টাকা দিয়ে, সিন্ডিকেট রাজ করে, তোলাবাজি করে, ভয় দেখিয়ে বিশাল বিশাল অট্টালিকা করছে। আর এখনে হকারদের উচ্ছেদ করতে বুলডোজার নামানো হচ্ছে। আর সেখানেই রাস্তার উপর দখলদারি করে তৃণমূলের এসি লাগানো অফিস, বাড়িঘর ,বেআইনিভাবে হলেও তা নিরাপদে রয়েছে। তিনি বলেন আজ জয়ন্ত ও জিতেন্দ্র মধ্যে কোন ফারাক নেই। ওরা টিএমসি ঝান্ডা নিয়ে লুটপাট করে, মানুষের অধিকার কেড়ে নেয় । আজ এরা সব তৃণমূলের সম্পদ। এরাই পরে অনেকে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে। তার দাবি এ যেন রতনে রতন চেনে। এই বলে তিনি দাবি করেন, মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আজ রাজ্য টাকে অপরাধীদের মুক্তাঞ্চল বানিয়ে দিয়েছেন।
তার দাবি ২৫-৭৫ শতাংশ ভাগ দিলে, দুষ্কৃতিকারীরা নিরাপদে থাকে এখানে। এই বলে তার দাবি আজ দুর্নীতিতে কে আস্কারা না দিয়ে, যদি আগে থেকেই এ সকল জয়ন্তদের ধরা হত, তাহলে জয়ন্ত জায়ান্ট হতো না। এই সম্পদ এখন বিপদে পরিণত হয়েছে। রাজ্যের মানুষ আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে । কেড়ে নেওয়া হয়েছে, ভোট দেওয়ার অধিকার । আজ পশ্চিমবাংলায় যা হচ্ছে, ত্রিপুরাতেও তাই । এই বলে তিনি দাবি করেন, মমতা ব্যানার্জি, আরএসএসের পাঠশালায় গুন্ডার রাজনীতির শিখে এসে, তা পশ্চিমবাংলায় প্রয়োগ করে চলেছেন।
- দূর্গাপুরের বন্ধ কারখানার আবাসন থেকে দুই কর্মীর দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ
- Durgapur बंद फैक्ट्री में दो श्रमिकों की मौत
- राउंड टेबल इंडिया द्वारा निशुल्क नेत्र जाँच शिविर का आयोजन, 700 की जाँच
- মৃতদেহ রেখে ক্ষতিপূরণের দাবিতে পথ অবরোধ
- सभ्य समाज में दहेज प्रथा जड़ से समाप्त होनीं चाहिए : यशोदा नंदन महाराज