ASANSOL-BURNPUR

বার্নপুর গুলি কান্ডে গ্রেফতার প্রধান অভিযুক্ত ব্রেট লি, ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড


বেঙ্গল মিরর, বার্ণপুর ও আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোলের হিরাপুর বার্নপুরের ধ্রুবডাঙালে গুলি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত গণেশ সাউ ওরফে ব্রেট লিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে ব্রেটলিকে হিরাপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে আসানসোলের কোর্ট মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে। সোমবার ধৃতকে আসানসোল আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন নাকচ করে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেন।


গত ১ আগস্ট রাতে হিরাপুর থানার বার্ণপুরের ধ্রুবডাঙালে রেলক্রসিংয়ের কাছে আদিত্য মন্ডল নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছিলো । এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তাকে প্রথমে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। পরে তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতাল থেকে দূর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন তাকে বর্ধমান হয়ে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু রাস্তায় আদিত্য মণ্ডলের মৃত্যু হলে, মৃতদেহ আসানসোল জেলা হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়। ৩ আগষ্ট আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।


অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে হিরাপুর থানার পুলিশ জানতে পারে যে, ঘটনার সময় আদিত্যর সঙ্গে ধ্রুবডাঙালের বাসিন্দা গণেশ সাউ ওরফে ব্রেটলি ও আনমোল সিং ছিলো। ব্রেটলির কাছে দেশী রিভলভার বা পিস্তল ছিলো। আনমোল তা আসল না নকল তা দেখতে টানাটানি করছিলো। তখন কোনভাবে অসাবধানবশত গুলি চলে যায়। সেই গুলিতে পাশেই থাকা আদিত্যর বাঁ চোখের নিচে লাগে।


ঘটনার পরেই রিভলভার সহ গণেশ সাউ ওরফে ব্রেটলি ফেরার হয়ে যায়। তবে রাতেই পুলিশ আটক করে আনমোলকে। পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে যে, তার হাত থেকে গুলি চলেছিল। তবে রিভলভারটি ব্রেট লির। আনমোলকে জেরা করে পুলিশ গণেশ সাউ ওরফে ব্রেট লির হদিশ পায়।এরপর রবিবার রাতে তাকে পুলিশ কোর্ট মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এখন পুলিশ তাকে জেরা করে সেই রিভলভার খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে ।


তবে, ঘটনার পরে ব্রেটলির মা দাবি করেছিলেন, ঐ রিভলভার ছেলের নয়। ছেলে জনৈক রাজেশ সিংয়ের গাড়ি চালক ছিলো। ঐ রিভলবার রাজেশের। রিভলভার রাজেশের হলে, তা কেন তার ছেলের কাছে ছিলো, তার কোন জবাব তিনি দেননি।
পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।


এদিকে, আসানসোল পুরনিগমের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ববিতা দাস বলেন, পুলিশের উচিত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা উচিত। এই ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ঠিক কি উদ্দেশ্যে সেখানে ঐ যুবকেরা জড়ো হয়েছিল, পিস্তলই কোথা থেকে এল? এই সমস্ত বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা উচিত পুলিশের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *