আসানসোল ইএসআই হাসপাতাল চত্বরে দিনেদুপুরে চিকিৎসকের আবাসনের দরজা ভেঙে দুঃসাহসিক চুরি
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* দিনেদুপুরে চিকিৎসকের আবাসনের দরজা ভেঙে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা। বুধবার সকাল এগারোটা থেকে বারোটার মধ্যে এই ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের উত্তর থানার সেনরেল রোডে আসানসোল ইএসআই হাসপাতাল চত্বরে। ডাঃ জীবন কর্মকার নামে ঐ চিকিৎসকের আবাসনে এই ঘটনাটি ঘটেছে। তিনি ইএসআই হাসপাতালের ডায়ালোসিস ইনচার্জ হিসাবে কর্মরত আছেন। চিকিৎসকের আবাসনের ভেতরে রুমে থাকা আলমারির লকার থেকে চোরেরা ১৫ ভরির মতো সোনার গয়না ও নগদ দেড় লক্ষ টাকা লুঠ করে নিয়ে গেছে। এই ঘটনার জানাজানি হওয়ার পরে হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ চিকিৎসকের আবাসনে আসে। চিকিৎসকের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
চুরির ঘটনা হাসপাতালের সুপার ডাঃ অতনু ভদ্রকে জানানো হয়। তিনি কলকাতায় ডিরেক্টর সহ অন্য আধিকারিকদের তা জানিয়েছেন। জানা গেছে, গত ১০ বছর ধরে আসানসোল ইএসআই হাসপাতাল চত্বরে চারতলা একটি আবাসনের প্রথম তলায় পরিবার নিয়ে থাকেন ডাঃ জীবন কর্মকার। চিকিৎসকের স্ত্রী বর্তমানে বাপের বাড়িতে আছেন। চিকিৎসক গত সোমবার ছুটিতে থাকার কাজে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিনের মতো তিনি বুধবার সকাল এগারোটা নাগাদ আবাসনে তালা লাগিয়ে হাসপাতালে আসেন। বেশি কিছুক্ষন পরে অন্য এক চিকিৎসক দেখেন ডাঃ কর্মকারের আবাসনের দরজা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে।
সঙ্গে সঙ্গে তিনি ডাঃ কর্মকারকে তা জানান। ঐ চিকিৎসক ছুটে আসেন। তিনি আবাসনের ভেতরে ঢুকে দেখেন আলমারি খোলা। আলমারির ভেতরের লকারও খোলা রয়েছে। পরে চিকিৎসক বলেন, লকার থেকে ১৫ ভরির মতো সোনার গয়না ও নগদ দেড় লক্ষ টাকা চোরেরা নিয়ে গেছে। সকাল এগারোটা থেকে বারোটার মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। আবাসনে তখন কেউ ছিলোনা। ১০ বছর ধরে হাসপাতালের আবাসনে আছি। এমন ঘটনা কোনদিনও ঘটেনি। সবকিছু দেখে চিকিৎসকের মনে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে।
তিনি বলেন, আমার স্ত্রী বাপের বাড়িতে আছে। আমি হাসপাতালে কাজে এসেছি। তখন এই ঘটনা। শুধু তাই নয়, আমার আবাসনের উল্টোদিকের আবাসনে তালা বন্ধ। নিচের দুটো আবাসনে তালা বন্ধ। সেখানে কিছু হয়নি। শুধু আমার আবাসনে চুরি করা হয়েছে। তাও সবকিছু থাকা সত্বেও আলমারির লকার থেকে সোনার গয়না ও নগদ টাকা নেওয়া হয়েছে। মনে হচ্ছে, পরিচিত কেউ এর পেছনে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। আমি সব বলেছি। এই প্রসঙ্গে আসানসোল ইএসআই হাসপাতালের সুপার ডাঃ অতনু ভদ্র বলেন, খুবই চিন্তার বিষয়। এতো বড়ো হাসপাতালে প্রয়োজন মতো নিরাপত্তা রক্ষী ও সিসি ক্যামেরা নেই। পুলিশ ক্যাম্পও নেই। মাঝে মধ্যে পুলিশ টহল দেয়। আমি পুলিশ ক্যাম্প বসানোর পাশাপাশি ১০০ নিরাপত্তা রক্ষী ও সম পরিমাণে সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা জানিয়ে কলকাতায় চিঠি লিখেছি। হাসপাতাল চত্বরে নার্সিং কলেজ আছে। তারপর এদিন দিনেদুপুরে চিকিৎসকের আবাসনে চুরির ঘটনা ঘটলো। তিনি বলেন, আমি ডিরেক্টরকে সবকিছু জানিয়েছি। এদিকে, আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ জানায়, অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
- Raniganj परित्यक्त भवन ढहा दबने से 2 की मौत
- রানীগঞ্জে দেওয়াল চাপা পড়ে দুজনের মৃত্যু, কয়েকজন চাপা পড়ার আশঙ্কা
- Mamata Banerjee का मास्टर स्ट्रोक पहुंची धरना मंच, कहा सीएम नहीं आपकी दीदी, सभी रोगी कल्याण समिति भंग
- Asansol फिर खुली ड्रेनेज सिस्टम की कलई, सड़कों पर भरा पानी, जनता परेशान
- बंगाल को अशांत करने की साजिश कर रहे हैं विरोधी : मलय घटक