আসানসোলে বিজেপির জেলাশাসক কার্যালয় অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, ভাঙা হলো ব্যারিকেড, ধস্তাধস্তি
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক খুনের ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার রাজ্য জুড়ে বিজেপি জেলাশাসক কার্যালয় অভিযানের ডাক দেওয়া হয়।
আসানসোলে এদিনের পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলাশাসকের কার্যালয় অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে। ভাঙা হয় আসানসোলের সেনরেল রোডের এইচএলজি হাসপাতাল মোড় সংলগ্ন রাস্তায় লাগানো পুলিশের প্রথম ব্যারিকেড। এই ব্যারিকেড লোহার গার্ডওয়াল দিয়ে তৈরি করা হয়েছিলো পুলিশের তরফে। এখানে পুলিশ বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের আটকানোর চেষ্টা করে। তখন পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। সেখান থেকে বিজেপির নেতা ও কর্মীরা জেলাশাসকের দিকে দৌড়তে শুরু করেন।
কিন্তু জেলাশাসক কার্যালয় যাওয়ার রাস্তায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে সামনে লাগানো দ্বিতীয় ব্যারিকেডে আটকে যান বিজেপির নেতা ও কর্মীরা। লোহার গার্ডওয়ালের সঙ্গে বাঁশের স্ট্রাকচারের সাহায্যে এই ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছিলো। উত্তেজিত বিজেপির কর্মী ও সমর্থকেরা সেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই ব্যারিকেড তারা ভাঙতে পারেননি। তাই কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে বিজেপির নেতারা সেখানে রাস্তায় ধর্ণায় বসে পড়েন।
এদিন সকালে আসানসোলের জিটি রোডের বিএনআর মোড় থেকে জেলাশাসকের কার্যালয় অভিযানে বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার তরফে মিছিল শুরু হয়। সেই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, দেবতনু ভট্টাচার্য, জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য বিজেপির ট্রেড সেলের কো-কনভেনার সুব্রত ওরফে মিঠু ঘাঁটি ও জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায়।
এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য কমিটির ডাকে এদিন আসানসোলে জেলাশাসক কার্যালয় অভিযান করা হচ্ছে। কিন্তু রাজ্য সরকার আমাদের সংগঠিত আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছে। তাই পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে আমাদের আটকানো হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম। কিন্তু আমাদেরকে ব্যারিকেড দিয়ে আটকানো হয়েছে। তাই আমরা ব্যারিকেডের সামনে বসে পড়েছি। আমরা জেলাশাসক কার্যালয়ে যাবোই। যতক্ষণ তা না হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা বসে থাকবো। তার দাবি, দলের মহিলা কর্মীদের হেনস্তা করা হয়েছে।
এদিন বিজেপির আন্দোলনের জন্য পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলাশাসক কার্যালয় সংলগ্ন এলাকাকে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে করা হয়েছিলো। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছিলো রেফ ও কমব্যাট ফোর্স।