আসানসোল সৃষ্টিনগর প্রিমিয়ার লিগ, ফাইনাল খেলায় অতিথি সন্দীপ পাতিল ও মদনলাল
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আইপিএল বা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে অনুপ্রাণিত হয়ে সেই ধাঁচে দুবছর আগে শুরু হয়েছিলো আকর্ষণীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আসানসোল সৃষ্টিনগর প্রিমিয়ার লিগ বা এসপিএল। ২০২৫ সালে এসপিএল তৃতীয় বছরে পড়লো। রবিবার রাতে আসানসোল সৃষ্টিনগরের ওডিসি ক্লাবে রোমাঞ্চকর ফাইনালের মধ্যে দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ হয়৷ প্রসঙ্গতঃ, গত ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টে অ্যাভেঞ্জারস, ওয়ারিয়র্স, প্রিডেটরস, নিনজা, বিদ্রোহী, চ্যালেঞ্জার্স, ম্যাভরিকস, প্যান্থারস এবং টাইটানস সহ নয়টি দল অংশ নেয়। সমন্বিত গতিশীল ম্যাচ দেখেছে। এই বছরের ম্যাচগুলি ৮ ওভারের ফরম্যাটে খেলা হয়। মোট ৮ জন খেলোয়াড় নিয়ে দল তৈরি করা হয়েছিলো ও ৪ জন অতিরিক্ত খেলোয়াড় দলগুলিতে।




টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় রবিবার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১৯৮৩ র বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের দুই ক্রিকেটার সন্দীপ পাতিল ও মদন লাল। তারা টিম প্রিডেটরদের হাতে উইনার্স ট্রফি তুলে দেন। এই দল নিনজাকে ১৪ রানে হারিয়ে ফাইনালে জয়ী হয়। এই টুর্নামেন্টে অ্যাভেঞ্জার্স মহিলা দল চ্যালেঞ্জার্স মহিলা দলকে পরাজিত করে মহিলা বিভাগের উইনার্স ট্রফি জিতে নেয়। জয়ী মহিলা দলের হাতে দুই অতিথি ট্রফি তুলে দেন।
এক সাক্ষাৎকারে সন্দীপ পাতিল বলেন, সৃষ্টি নগর প্রিমিয়ার লিগে আমার দ্বিতীয় বছর আসা হলো। এর আগে গত বছর যখন এখানে এসেছিলাম, তখন দর্শক ও খেলোয়াড়দের মধ্যে যে উৎসাহ দেখে তাতে আকৃষ্ট হয়েছিলাম। তিনি আরো বলেন, এভাবে খেলার আয়োজন করা হলে মানুষের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ আরও বাড়বে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের সময়ে এমন ফরম্যাটে ক্রিকেট ছিল না। তা হলে আমিও এতে অংশ নিতাম। মদনলাল বলেন, আমি প্রথমবারের আসানসোলের মতো শহরে এই রকম একটা ইভেন্টে এলাম। খেলোয়াড় ও মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে ও এমন একটা খেলার আয়োজনের জন্য তিনি সকলের প্রশংসা করেন। তিনি আরো বলেন, আরো বেশি করে এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা উচিত। তাহলে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা আরো বেশি করে বাড়বে।
বেঙ্গল সৃষ্টির গ্রুপ হেড প্রোপার্টি ম্যানেজমেন্ট বিনয় চৌধুরী বলেন, সৃষ্টিনগর প্রিমিয়ার লিগ ২০২৫ আবারও প্রমাণ করেছে যে ক্রিকেট কেবল একটি খেলার চেয়েও অনেক বেশি কিছু। এটি মানুষকে একত্রিত করার এবং সম্প্রদায়ের একটি শক্তিশালী অনুভূতি তৈরি করার একটি উপায়৷ পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে শক্তি এবং উত্তেজনা ছিল তুলনাহীন, এবং খেলোয়াড়দের দ্বারা প্রদর্শিত প্রতিভা সত্যিই অসাধারণ ছিল। তিনি আরো বলেন, এটি আসানসোলের অন্যতম প্রধান ক্রীড়া ইভেন্ট হিসাবে নিজেকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ক্রিকেটপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে পরের মরসুমের জন্য অপেক্ষা করছে।