বার্নপুরের ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের গেটে তালা, একযোগে বিক্ষোভ পড়ুয়া ও অভিভাবকদের
বেহাল দশা ক্লাসরুমের , ভেঙে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা, সারাইয়ের দাবি
বেঙ্গল মিরর, বার্নপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ( Burnpur News ) দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হয়নি বলে অভিযোগ। তার ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। বেহাল দশা ক্লাস রুমের। ভেঙে ভেঙে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা। যে কারণে ক্লাস রুমের বাইরে হচ্ছিল পড়াশোনা। বারবার এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে চিঠি দেওয়া হয়েছিলো বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত ক্লাস রুম সারাইয়ের দাবিতে শুক্রবার সকাল নটা থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বার্নপুরের বড়থোল ফ্রি প্রাইমারি বা অবৈতনিক স্কুলে গেটে তালা লাগালেন অভিভাবকেরা। তারা স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে স্কুল গেটের বাইরে দাবি পূরণে বিক্ষোভ দেখান।




এই বিক্ষোভের কারণে এদিন স্কুলে পড়াশোনা হয়নি। তবে স্কুল কতৃপক্ষের তরফে এ্যাসিস্টেন্ট শিক্ষক রামমোহন মুখোপাধ্যায় বিক্ষোভকারী অভিভাবকদের অনুরোধ করে বলেন, দাবি ন্যায্য। কিন্তু স্কুল বন্ধু থাকলে পড়ুয়ারা মিড ডে মিল পাবেনা। তা ঠিক নয়। মিড ডে মিল তৈরির রান্না করার জন্য একটা অংশের তালা খুলে দেওয়া হোক। রামমোহনবাবুর সেই অনুরোধ অভিভাবকেরা মেনে নেন। পরে মিড ডে মিলের রান্না করা হয়। বেলার দিকে স্কুল মাঠে বসে পড়ুয়ারা মিড ডে মিল খায়। এদিনের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড়থোল গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, বার্নপুরের বড়থোল ফ্রি প্রাইমারি স্কুলটি ১৯৭১ সালের। ৫০ বছর পার করে আসা এই প্রাইমারি স্কুলের পড়ুয়াদের সংখ্যা এই মুহুর্তে ৭২ জন।
বিক্ষোভকারী অভিভাবকদের তরফে রীতা ওরাং ও মধুমিতা ছেত্রী বলেন, অনেক বছর পরে এই স্কুলের ক্লাস রুমের সংস্কার করা হয় নি। এরফলে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। ছেলেমেয়েদেরকে স্কুলে পড়াশোনা করতে পাঠাতে ভয় লাগে। যদি তাদের উপর ভেঙে পড়ে। তাই পড়াশোনা বাইরে মাঠে করতে হয়। কিন্তু তা তো সবসময় সম্ভব নয়। তারা আরো বলেন, আমরা বারবার বলেছি। চিঠি লিখেছি। স্কুলের শিক্ষকরাও চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই এদিন সকাল নটা থেকে সারাইয়ের দাবিতে স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছি। শুধু মাত্র মিড ডে মিল রান্নার জন্য তালা খোলা হয়েছে।
এদিকে, স্কুলের এ্যাসিস্টেন্ট শিক্ষক রামমোহন মুখোপাধ্যায় বলেন, অভিভাবকদের দাবি যুক্তি সঙ্গত। লাউদোহাতে এদিন জেলা বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হচ্ছে। তাই প্রধান শিক্ষক আসেননি। আমি তার সঙ্গে ও এসআইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, সংস্কারের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কাজ শুরু হবে দ্রুত। আমি তা অভিভাবকদেরকে তা বলেছি। পাশাপাশি, আমি মিড ডে মিলের জন্য তালা খুলে দিতে বলেছিলাম। অভিভাবকেরা আমার অনুরোধ রেখেছেন।