আসানসোল থেকে প্রয়াগরাজে যাওয়ায় দুটি স্পেশাল ট্রেন, ভিড় সামলাতে রেলের একাধিক পরিকল্পনা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ( Asansol Rail Station Latest Update ) মহাকুম্ভে স্নান করতে প্রয়াগরাজে যাওয়ায় জন্য রেল স্টেশনগুলিতে ট্রেনে ভক্তদের অত্যাধিক পরিমাণে ভিড় হচ্ছে। সেই ভিড়ের পরিপ্রেক্ষিতে ও দিল্লি স্টেশন সহ একাধিক স্টেশনে যাত্রীদের হুড়োহুড়ির জন্য পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি সামাল দিতে রেলের তরফে তৎপরতা শুরু হয়েছে। আসানসোল স্টেশনে যাত্রীদের সুবিধার্থে রেল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের এডিআরএম প্রবীণ কুমার প্রেম সোমবার আসানসোল স্টেশনে সাংবাদিকদের জানান, আসানসোল স্টেশন থেকে দুটি মহাকুম্ভ স্পেশাল ট্রেন ছাড়বে। ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ও ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার আসানসোল স্টেশন থেকে এই দুটি স্পেশাল ট্রেন ছেড়ে যাবে। এতে যাত্রীদের প্রবেশ ও বেরোনোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। জিগজ্যাগ পদ্ধতিতে স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। প্রবেশ বা ঢোকা কেবল প্রধান গেট দিয়েই হবে। প্রস্থান বা বেরোনোটা পার্সেল অফিসের পাশে হবে।




এডিআরএম বলেন, এছাড়াও ২০, ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি সাপ্তাহিক ট্রেনও চলবে। আশা করা হচ্ছে যে এতে আসানসোল থেকে প্রয়াগরাজ যেতে ইচ্ছুক ভক্তদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, ভক্তদের বিশাল ভিড়ের পরিপ্রেক্ষিতে আসানসোল রেল ডিভিশনের তরফে স্টেশন চত্বরে অতিরিক্ত ব্যবস্থা করা হবে। ধাপে ধাপে যাত্রীদেরকে ট্রেনে তোলা হবে। যাতে কোনভাবে হুড়োহুড়ি ও পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি না হয়। স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় যাত্রীদের জন্য একটি হোল্ডিং এরিয়া তৈরি করা হবে। এছাড়াও, গরমের কথা মাথায় রেখে একটি শেড তৈরি করা হবে এবং জলের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ব্যারিকেডিং করে যাত্রীদের একে একে ট্রেনে তোলা হবে। তিনি সবাইকে কোন রকম তাড়াহুড়ো না করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি আশ্বাস দেন যে প্রয়াগরাজে যাওয়ার জন্য সব ভক্তদের জন্য ট্রেনের ব্যবস্থা থাকবে। আসানসোল ডিভিশন এই বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, এই পাঁচটি ট্রেন ছাড়াও আরও বিশেষ ট্রেনের জন্য রেলের সদর দপ্তরে অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ, রবিবার সন্ধ্যায় আসানসোল – মুম্বাই ট্রেনে চাপার জন্য আসানসোল স্টেশনে লাগামছাড়া ভিড় জমেছিলো। কয়েক হাজার লোক এই ট্রেনে চাপার জন্য চলে আসেন। হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। দড়ি বেঁধে আরপিএফ সেই ভিড় আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই দড়ি তুলে যাত্রীরা স্টেশনে ঢোকার জন্য দৌড়তে শুরু করেন। আরপিএফ ও রেল আধিকারিকরা কোনমতে পরিস্থিতি সামাল দেন।