রানীগঞ্জ গার্লস কলেজে অনুষ্ঠিত হলো বসন্ত উৎসব
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ :বসন্ত এসে, চলেও গেছে, তবে তাতে কি ? সম্প্রীতির রঙ লাগুক সবার মনে, এই বার্তায় ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে, বিগত বছরগুলির ন্যায় এ বছরও বসন্ত উৎসব 2025 এর, দোল উৎসব বা বসন্ত উৎসব আনন্দমুখর ভাবেই পালিত হলো রানীগঞ্জ গার্লস কলেজে। মঙ্গলবার রানীগঞ্জ গার্লস কলেজের উপস্থাপনায়, বসন্ত উৎসব কে সামনে রেখে, আনন্দে মুখরিত হয়ে বসন্ত উৎসব পালন করল কলেজ ছাত্রীরা। রানীগঞ্জের গার্লস কলেজ ময়দান চত্বরে এই বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়।




কলেজ ছাত্রী থেকে শুরু করে কলেজের প্রিন্সিপাল পর্যন্ত নিজেদের বক্তব্যে দাবি করেন যে দোল উৎসবের সময় কালে যে রূপ ভাবে রঙ খেলার বিষয় লক্ষ্য করা যায়, তা অনেকটাই উৎশৃংখল ও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে, সে কারণেই অনেক ছাত্রীরাই এই রঙ খেলা, বা বসন্ত উৎসব থেকে বিরত থাকে, আর তার সাথেই মহিলাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসুবিধের মুখেও পড়তে হয়। সে কারণে অনেক এই দোল খেলা বা বসন্ত উৎসব থেকে দূরে থাকে। তবে কলেজ ছাত্রীরা যখন কলেজের মধ্যেই এই বসন্ত উৎসব বা দোল উৎসবে মেতে ওঠার সুযোগ পায়, তখন তারা সমস্ত বাধা বাধ্যকতাকে দূরে ঠেলে, জাতি, ধর্ম, বর্ণের বিধি নিষেধ কে তোয়াক্কা না করেই, সর্বধর্ম সমন্বয়ে, সম্প্রীতির এই রঙ, সম্প্রীতির এই বসন্ত উৎসবে মেতে ওঠে। তাই সে সকল বিষয় লক্ষ্য করেই ছাত্রীদের মনে সম্প্রীতির ভাব গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এ ধরনের বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয় গার্লস কলেজ চত্বরে বলেই দাবি করেন কলেজ প্রিন্সিপাল ছবি দে।
একইভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে ছাত্রীরা যখন একে অপরকে রাঙিয়ে এমনকি যে অধ্যাপক অধ্যাপিকা তাদের সর্বদাই শিক্ষা প্রদান করেন, তাদের সঙ্গেও রঙ খেলার সুযোগ যখন তারা পায়, তখন আর সে আনন্দ কুলোয় না তাদের।তাই সেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে একে অপরকে যেমন তারা রঙিন ভেষজ আবিরে রাঙিয়ে দেন, তেমনি ভাবেই কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে মিষ্টিমুখ করানোর আয়োজনও থাকে কলেজ ক্যাম্পাসে। আর এবার তো তার সাথেই খিচুড়ি ভোজের আয়োজন করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ, যা লক্ষ্য করে ও এই দোল উৎসবে আবারো আনন্দে উচ্ছাসে মেতে উঠতে পারবে তা দেখেই খুশি সকলে। জানা যায় এদিনের এই দোল উৎসবে ছাত্রীদের মাঝে উপস্থিত হন রানীগঞ্জের বিধায়ক তথা রানীগঞ্জ গার্লস কলেজের গোবর্নিং বডি প্রেসিডেন্ট তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।