আসানসোলের অবৈধ দখলদার নিয়ে ফসবেকির উদ্বেগ প্রকাশ, জেলাশাসক ও মেয়রকে চিঠি
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* দক্ষিণবঙ্গের বৃহত্তম বাণিজ্যিক সংগঠন বা বনিকসভা ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা ফসবেকি আসানসোল, রানিগঞ্জ, কুলটি, জামুরিয়া এবং বরাকরে ক্রমবর্ধমান অবৈধ দখলদার নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলো । সংগঠনের সভাপতি শচীন রায় সোমবার পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলম আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের কাছে এই বিষয়ে একটি চিঠি লিখেছেন। যাতে, এই দখলদার নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।




শচীন রায়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, জেলার এই গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর মুল রাস্তার ফুটপাতে অবৈধভাবে দোকানদারেরা বসে আছেন। এইসব বেআইনি দখলদারদের কারণে পথচারীরা ব্যস্ত রাস্তায় চলাচল করতে বাধ্য হতে হচ্ছেন। যার ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। ফসবেকির সভাপতির লেখা চিঠিতে জানানো হয়েছে, এই অবৈধ দখল শুধুমাত্র রাস্তার নিরাপত্তাই নয়, শহরের অগ্রগতি এবং বাণিজ্যিক কার্যকলাপকেও ব্যাহত করছে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিশেষ করে আসানসোল ও রানিগঞ্জ শিল্প ও বাণিজ্যের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। যেখানে বাইরে থেকেও ব্যবসায়ীরা বাজার করতে আসেন। কিন্তু অবৈধ দখলের কারণে এই শহরগুলির গতি ক্রমশই মন্থর হচ্ছে। যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।শচীন রায় জেলাশাসক এবং মেয়রের কাছে অনুরোধ করে জানিয়েছেন যে, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। ফুটপাতে ব্যবসা করা বিক্রেতাদের জন্য পৃথকভাবে একটি নির্দিষ্ট এলাকা তৈরি করা হোক। এর ফলে তাদের ব্যবসা অব্যাহত থাকবে এবং শহরবাসীদেরও কোনো অসুবিধা হবে না।
সংগঠন এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপের আশা প্রকাশ করেছে। যাতে শহরের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়।প্রসঙ্গতঃ, দিন কয়েক আগে আসানসোল শহরের অন্যতম ব্যস্ততম ও জনবহুল রাস্তা হটন রোড থেকে অবৈধ ও বেআইনি দখলদারদের উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা নিয়েছিলো। দোকানদারদের সরে যেতে সময় দেওয়া হয়। বলা হয়েছিলো, তারা সরে গেলে বড় ড্রেন তৈরি করা হবে। সেই মতো দোকানদারেরা সরেও যান। কিন্তু কোন অঙ্গাত কারণে একেবারে শেষ মুহুর্তে আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করে দেয়। যে কারণে আপাততঃ ড্রেন তৈরির পরিকল্পনাও বিশবাঁও জলে।