আসানসোলের সুশান্ত রায়ের মোমের সুনীতা উইলিয়ামস গড়ে চমক, উন্মোচনে মন্ত্রী ও জেলাশাসক
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* এবার মোমের সুনীতা উইলিয়ামস গড়ে চমক দিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের ১ নং মহিশীলা কলোনির বাসিন্দা শিল্পী সুশান্ত রায়। প্রায় ২ মাস ধরে সুশান্ত রায় মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামসের এই মোমের মূর্তি তৈরি করেছেন। সুনীতা উইলিয়ামসের নীল রঙের ড্রেস বা পোশাক আনা হয়েছে সুদূর আমেরিকা থেকে। তার জন্য অতিরিক্ত ১৫ দিন সময় লেগেছে এই মূর্তি শেষ করতে। রবিবার সকালে আসানসোলের ১ নং মহিশীলা কলোনির সুশান্ত রায় ওয়াক্স মিউজিয়াম ও শীশমহলে এক অনুষ্ঠানে সুনীতা উইলিয়ামসের মোমের মূর্তির উন্মোচন করেন রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয়। অন্যদের মধ্যে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসক এস পোন্নাবলম।




কাছে এই মূর্তিটি উন্মোচন করা হয়েছে।বলে রাখা ভালো, ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনীতা উইলিয়ামস কয়েকদিন আগে ৯ মাস মহাকাশ বা স্পেসস্টেশনে কাটিয়ে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন। সুশান্ত রায় তার সেই কৃতিত্বকে অভিবাদন জানাতে তার একটি মোমের মূর্তি তৈরি করেছেন। এই প্রসঙ্গে সুশান্ত রায় বলেন, আমরা যদি একদিনের জন্যও কোনও জায়গায় আটকে থাকি, তাহলে আমরা ভয় পেয়ে যাই। কিন্তু সুনীতা উইলিয়ামস ৯ মাস মহাকাশে আটকে ছিলেন। তিনি সাহস হারাননি এবং নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। তার এই সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাতে আমি মূর্তি তৈরি করেছি।
তিনি আরো বলেন, সাধারণ ভাবে এমন একটা মোমের মূর্তি তৈরি করতে দেড় মাস সময় লাগে। কিন্তু সুনীতা উইলিয়ামস যে নীল রঙের ড্রেস বা পোশাক পড়েন ( নাসার দেওয়া), তা ভারতে পাওয়া যায় না। জয়পুরেও এমন একটি মোমের মূর্তির জাদুঘর বা ওয়াক্স মিউজিয়াম রয়েছে। সেই জাদুঘরের মালিকের সাথে আমার যোগাযোগ রয়েছে। তাকে গোটা বিষয়টি বলি। তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেন। আমেরিকা থেকে তিনি এই পোশাক আনার ব্যবস্থা করেন। দিল্লি হয়ে সেই পোশাক আমার কাছে এসে পৌঁছায়। দাম খুব একটা বেশি নয়। তা নিয়ে আসাটাই সমস্যার। তা পাওয়ার পরেি এই মূর্তি তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।
রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক ও পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলম সুশান্ত রায়ের হাতের কাজ দেখে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, সুশান্ত রায় আসানসোল বা পশ্চিম বর্ধমান জেলার নয়, গোটা বাংলার গর্ব। তার এই ওয়াক্স মিউজিয়ামে কার না মোমের মূর্তি আছে। মনীষী থেকে রাজনৈতিক নেতা, খেলোয়াড়, অভিনেতা সবার মোমের মূর্তি সুশান্ত রায় তৈরি করেন। তার ওয়াক্স মিউজিয়ামে সেইসব মূর্তি রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করতেই পারি, এই শিল্পী আরো অনেক কাজ করবেন। জেলাশাসক বলেন, সুশান্ত রায়ের মিউজিয়ামে মূর্তি রাখা দেখে আমি খুব অবাক হয়েছি। সবাইকে যেন জীবন্ত দেখাচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন এখানে মূর্তিটি কথা বলবে। একদম দেখতে অবিকল। তিনি বলেন, সুশান্ত রায় কেবল আসানসোল নয়, সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের গর্ব। আমি চাই তিনি এভাবেই এগিয়ে যান।