আসানসোলে রাস্তা সংস্কারে দেরী, সরব বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আসানসোল শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ, জনবহুল ও ব্যস্ততম রাস্তা হলো বার্নপুর রোড ও সেনরেল রোড বা বিবেকানন্দ সরণি। এই দুটি রাস্তা একযোগে আসানসোল শহরের জিটি ও ১৯ নং জাতীয় সড়কের জুবিলি মোড়কে সংযুক্ত করেছে। সম্প্রতি, বার্নপুর রোডের স্কোব গেট থেকে জিটি রোডের ভগৎ সিং মোড় হয়ে জুবিলি মোড় পর্যন্ত সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে। সেইজন্য কয়েক কিলোমিটার এই রাস্তা মেশিন দিয়ে কাটা হয়েছে।




শনিবার বিজেপির রাজ্য কমিটির নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় কোর্ট মোড সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সেই রাস্তা সংস্কারে দেরী করা নিয়ে সরব হন। তিনি আসানসোলের ভগত সিং মোড থেকে স্কোব গেট এবং জুবিলি মোড পর্যন্ত রাস্তার খারাপ অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন ।
তিনি বলেন, গত ১৫ দিন ধরে এই রাস্তাটি খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছে। কিন্তু কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এই সময়ে বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। যে কারণে এই রাস্তাটি এখন চলাচল করার জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়। তিনি দাবি করেন যে, প্রতিদিন এই রাস্তায় ২৫টিরও বেশি পথ দুর্ঘটনা ঘটছে। মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। মানুষ এই রাস্তায় হাঁটতে ভয় পাচ্ছে। কিন্তু এই কাজ কখন শেষ হবে তা কেউ বুঝতে পারছে না।
তিনি বলেন যে এই কাজটি কে করছে তাও বোধগম্য নয়। কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, আমি নিজেই এই বিষয়ে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডা, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদ এবং আসানসোল পুরনিগমের সিইওকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু কোথাও থেকে কোনও সাড়া পাইনি। তিনি বলেন, আসানসোল পুরনিগমের কমিশনার বা আড্ডার সিইওর ফোন ধরার বা ফোন ধরার জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই। তাই কে এই কাজটি করছে এবং প্রতিদিন ২৫ টিরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটা এই রাস্তার কাজ কত দিনে শেষ হবে তাও বোঝা যাচ্ছে না।
বিজেপি নেতা স্পষ্টভাবে বলেন যে এইভাবে মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে, সেখানে তো বিজেপি চুপ করে বসে থাকতে পারবে না। তিনি বলেন, এই বিষয়ে জেলাশাসকের কাছে একটি ইমেল পাঠানো হয়েছে। তাকে বলা হয়েছে যে ১৫ দিনের মধ্যে এই রাস্তার কাজ শুরু করা উচিত এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ শেষ করতে হবে। অন্যথায় বিজেপি সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আন্দোলন করতে রাস্তায় নামবে বলে এদিন বিজেপি নেতা হুঁশিয়ারি দেন।প্রসঙ্গতঃ, জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডা এই রাস্তা তৈরিতে আর্থিক সহায়তা করছে। কিন্তু কেন এই ভাবে রাস্তা কেটে সংস্কারের নামে ফেলে রাখা হয়েছে, তা প্রশাসনের তরফে বলা হয় নি।