ASANSOL

আসানসোলে ভাড়াটিয়ার চাপ ও আর্থিক দেনায় হাতের শিরা কেটে ও এ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা, মায়ের মৃত্যু, জখম ছেলে, তদন্তে পুলিশ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়/সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : বাড়ি লিখে দেওয়ার জন্য ভাড়াটিয়ার চাপ ও প্রচুর টাকার দেনায় দায়ে জর্জরিত হয়ে কার্বলিক এ্যাসিড খেয়ে ও হাতের কব্জির শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করলো মা ও ছেলে। পরে মায়ের মৃত্যু হয়। আসানসোল জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ছেলে। ঐ বাড়ির ভেতরে একটি ঘর থেকে তিনটি পোষ্য বিদেশি কুকুরকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। কার্বলিক এ্যাসিড খাওয়ার কারণে ঐ তিনটি কুকুরের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসানসোল হটন রোডের রাসডাঙ্গার সুমথপল্লী এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ আপাততঃ আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে একটি মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে। রাতেই ঐ বাড়ির ভাড়াটিয়া মহিলাকে পুলিশ আটক করেছে। তাকে জেরা করে, তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের সত্যতা জানার চেষ্টা করছে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ।

মৃতার নাম যুথিকা দাস (৬৮)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছেলের নাম অরবিন্দ দাস (৪০)। এদিন দুপুরে দাস বাড়িতে তদন্ত করতে যান আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারাটের ডিসিপি ( সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাস। তার সাথে ছিলেন এসিপি ( সেন্ট্রাল) বিশ্বজিৎ নস্কর ও আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডু। পুলিশ আধিকারিকরা বাড়ির দোতলার ঘরগুলো ভালো করে দেখেন। সোমবার রাতেই বাড়িটি পুলিশ তালা বন্ধ করে দেয়। বাড়ির সামনে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে।

ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে এই প্রসঙ্গে ডিসিপি ( সেন্ট্রাল) বলেন, সোমবার রাতে এই বাড়ির একটা ঘর থেকে পুলিশ মা ও ছেলের জখম ও অচৈতন্য অবস্থায় পায়। তাদেরকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মাকে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ছেলে ভর্তি আছে। তার শারীরিক অবস্থা কথা বলার মতো হলে, তাকে জেরা করা হবে। আপাততঃ পুলিশ একটি আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে। এই বাড়ির এক ভাড়াটিয়া মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে তদন্তের। তাই ফরেনসিক দলকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, পারিবারিক ও আর্থিক দেনার সমস্যার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। সবকিছুই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *