আসানসোল জেলা হাসপাতালে টাইপ ১ ডায়াবেটিস আউটডোর ক্লিনিকের উদ্বোধন
রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক, নিরাপত্তা বাড়াতে একাধিক বিষয়ে আলোচনা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* আসানসোল জেলা হাসপাতালে এবার চালু হলো টাইপ ১ ( শিশু) ডায়াবেটিস আউটডোর ক্লিনিক। বুধবার সকালে এক অনুষ্ঠানে ফিতে কেটে এই ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক। জেলা হাসপাতালের পুরনো ভবনের আউটডোরে এই ক্লিনিক চালু করা হয়েছে বলে জানান জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস। তিনি আরো বলেন, মুলতঃ দু”টাইপের ডায়াবেটিস হয়। টাইপ ১ ও টাইপ ২। টাইপ ১ ডায়াবেটিস শিশুদের হয়। জেলা হাসপাতালে পুরনো ভবনের আউটডোরে এই ক্লিনিক চালু করা হলো।













আপাততঃ সপ্তাহে একদিন শুক্রবার এই ক্লিনিক হবে। জেলা হাসপাতালের চাইল্ড স্পেশালিস্ট বা শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রোটেশন পদ্ধতিতে এই ক্লিনিকে বসবেন। এছাড়াও এদিন আসানসোল জেলা হাসপাতালে রোগী কল্যান সমিতির বৈঠক হয়। এই বৈঠকে মন্ত্রী মলয় ঘটক ছাড়াও পশ্চিম বর্ধমানের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস খান, আসানসোলের মহকুমাশাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়, জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস, ডেপুটি সুপার কঙ্কন রায়, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, ডাঃ সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়, ডাঃ রুদ্রনীল লাহিড়ী, দুই সহকারী সুপার ভাস্কর হাজরা ও সৃজিত মিত্র, জেলা হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক, নার্সিং স্টাফ, আসানসোল দক্ষিণ থানার প্রতিনিধি, পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা উপস্থিত ছিলেন।
এদিনের বৈঠকে জেলা হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো বাড়াতে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম জেলা হাসপাতালের বাউন্ডারি ওয়াল বা সীমানা প্রাচীর। একাধিক জায়গায় বাউন্ডারি ওয়াল নেই। এরফলে জেলা হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে একটা প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ রাতের দিকে বহিরাগতরা জেলা হাসপাতালে ভেতরে চলে আসছে। যেকোন সময় অপরাধ ঘটে যাওয়া একটা শঙ্কা থাকছে। তাই পূর্ত দপ্তরকে দ্রুত এই বাউন্ডারি ওয়ালের একটা এস্টিমেট তৈরি করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও নার্সিং কোয়ার্টারের একেবারে ভগ্নদশা। সেই কোয়ার্টার সারাইয়ের জন্য পূর্ত দপ্তরকে আলাদা করে আরো একটা এস্টিমেট করতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য জেলা হাসপাতালে আরো সিসি ক্যামেরা বসানো, পুলিশ টহল বাড়ানো ও প্রতিটি কর্মীর পুলিশ ভ্যারিফিকেশন করানোর ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি হাসপাতালে ইতিমধ্যেই সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। সেই প্যানেল চালু করতে গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত করা নিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের আরএমের সঙ্গে কথা বলার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। মন্ত্রী মলয় ঘটক আলোচনা হওয়া সব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদেরকে বলবেন। যাতে, সবকিছু দ্রুততার সঙ্গে করা হয়।

