ASANSOL-BURNPUR

করোনা পরিস্থিতিতে উদ্ভুত রক্তসঙ্কটে আসানসোলে পুলিশকর্মীদের ৪ দিনে ১০৮ ইউনিট রক্তদান ; রক্তদান করেন ডি. সি(সেন্ট্রাল)

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, ৮ ই এপ্রিল ২০২০, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত :   সারা দেশজুড়ে জারি রয়েছে ২১ দিনের লকডাউন । লকডাউন ঘোষণার আগে থেকেই করোনা আতঙ্কে রক্তদান শিবির প্রায় বন্ধ রয়েছে ৷ চরম রক্তসংকটে ভুগছে রাজ্যের হাসপাতালগুলো।

ব্লাডব্যাঙ্ক গুলিতে রক্তের চাহিদা মারাত্মক আকার নিয়েছে।

 রক্তের এই নজিরবিহীন  আকাল মেটাতে এগিয়ে এলেন আসানসোলে দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কর্মীরা কর্মীরা।

বছরের অন্যান্য সময়ে রক্তসঙ্কট মেটাতে বছরের অন্যান্য সময়ে পুলিশের পক্ষ থেকে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হলেও করোনা পরিস্থিতিতে গত ৪,৫,৭ এবং আজ ৮ ই এপ্রিল রক্তদানের বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হয় ।

রক্তদান শিবির টি আসানসোলে করপোরেশনের উদ্যোগে আসানসোলে জি টি রোড ট্রাফিক কলোনি মোড়ে রক্তদান কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।

 এই চার দিনে পুলিশের পক্ষ থেকে মোট ১০৮ ইউনিট রক্ত সংগৃহীত হয় যা প্রশংসনীয়। প্রথম দিন ২৭ ইউনিট, দ্বিতীয় দিন ৩০ ইউনিট, তৃতীয় দিন ২৩ ইউনিট রক্ত সংগৃহীত হয়।

 আজ ৮ ই এপ্রিল মোট ২৮ ইউনিট রক্ত সংগৃহীত হয় এই  ব্লাড ক্যাম্পের মাধ্যমে। আজ দুপুর ১ টা পর্যন্ত এই রক্তদান  শিবির চলে। রক্ত দেন আসানসোলের ওয়েস্ট জোন এবং ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা এবং সিভিক ভলান্টিয়াররা। আজ ৮ ই এপ্রিল শেষ রক্তদাতা ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডি. সি (সেন্ট্রাল) সায়ক দাস, আই. পি. এস নিজেই। রক্তদানের পর তিনি উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জেলা হাসপাতাল ব্লাড ব্যাংকে রক্ত সংকট এবং রক্তের যোগান সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। এই ৪ দিনে সমস্ত পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ার যারা রক্ত দিয়েছেন এবং রক্তদান শিবির যারা সংগঠিত করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ দেন ডি. সি ( সেন্ট্রাল)।
 এছাড়া এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের সার্কেল ইন্সপেক্টর এবং আসানসোলে দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা, পুলিশ কর্মী এবং সিভিক কর্মীরা।
 আসানসোল জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের মেডিক্যাল অফিসার ড: সঞ্জিত চ্যাটার্জী, ব্লাড ব্যাংক কর্মী বেনু সেনগুপ্ত, কালীদাস মিত্র, দেবরাজ চৌধুরী।
আসানসোল হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের প্রচুর রোগী এবং এর মধ্যে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যাও অনেক ।  দুর্ঘটনা আর অস্ত্রোপচারজনিত কারণে রক্ত যোগান দরকার। আর তার ওপর বর্তমানে করোনা আতঙ্কের কারণে রক্তের যোগান তলানিতে এসে ঠেকছে। আর ঠিক এই কারণবশত: পুলিশের  ব্লাডক্যাম্পের ভাবনা। 
আসানসোল জেলা হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কের মেডিকেল অফিসার সঞ্জিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ”  করোনা  পরিস্থিতির পুলিশ কর্মীদের রক্তদানের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।”
সারা বছর পুলিশকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। কিন্তু সারা বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে ভারতবর্ষে করোনা যেভাবে থাবা বসাচ্ছে এবং এপ্রিলের গরম আবহাওয়ার মধ্যে উদ্ভুত রক্তসঙ্কটে পুলিশের রক্তদানের উদ্যোগ সমাজের কাছে তাদের দায়বদ্ধতার প্রমাণ রাখে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *