পুলিশ, শিক্ষক ও সাংবাদিকের যৌথ প্রচেষ্টায় লকডাউনে বাংলা- ঝাড়খণ্ড সীমান্তে আটকে পড়া ক্যান্সার আক্রান্ত বাঙ্গালী মহিলা ও তার স্বামীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হলো জীবনদায়ী ওষুধ
এরপর তাদের সেখান থেকে রিলিজ দেওয়া হয় গত ১২ ই এপ্রিল। কোভিড -১৯ টেস্ট নেগেটিভ আসার পর তাদের ট্রানজিট পাস দেওয়া হয় দিল্লী উত্তরের জেলাশাসকের পক্ষ থেকে। দিল্লী থেকে একটি গাড়ি ভাড়া করে অন্যান্য সমস্ত রাজ্য পেরিয়ে এলেও পশ্চিমবঙ্গ ঝাড়খণ্ড সীমান্ত ডুবুরডিহি চেকপোষ্টে এসে ওই দম্পতি আটকে পড়েন গত ১৩ ই মার্চ। কারণ পশ্চিমবঙ্গ করোনা পরিস্থিতির আবহে সীমান্ত সম্পূর্ণ সিল করে দেওয়া হয়।
অনেক চেষ্টা করেও উপায় না দেখে ঝাড়খণ্ডের দিকে ২ নং জাতীয় সড়কের ধরে হোটেল সুমনদীপে আশ্রয় নেন। পুলিশের উচ্চ মহলেও খবর যায় যাতে তারা মধ্যমগ্রাম পৌঁছতে পারেন। কিন্তু অনুমতি আসতে সমস্যা দেখা দেয়।
ঘটনাচক্রে তার স্ত্রী শ্রীমতি ছবি চৌধুরী ক্যান্সার আক্রান্ত এবং তার তিনবার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে। সেই খবর পেয়ে শিক্ষক অনিক ওষুধের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় জীবনদায়ী ওষুধ ঝাড়খণ্ডে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে এবং যোগাযোগ করেন শিল্পাঞ্চলের এক সাংবাদিক সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে। সাংবাদিক যোগাযোগ করেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এ সি পি ট্রাফিক- ১ সুকান্ত ব্যানার্জীর সঙ্গে এবং কুলটি ওসি ট্রাফিক শুভেন্দু চ্যাটার্জীর সঙ্গে। এরপর পুলিশের সহযোগিতায় সাংবাদিক ও অনিকবাবু ওই দম্পতির কাছে ওষুধ পৌঁছে দেন।