ASANSOL-BURNPUR

করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্যসংকট মেটাতে এগিয়ে এল শ্রীরামপুর থানা এবং চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট

বেঙ্গল মিরর, শ্রীরামপুর, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২০, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: 
সারা দেশে করোনা পরিস্থিতিতে লক ডাউন অব্যাহত। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রোজ সারা দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে। এরই মধ্যে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা , পূর্ব মেদিনীপুর রেড জোন পরিস্থিতিতে রয়েছে ।
আর হাওড়া জেলার ঠিক পাশেই হুগলির জেলার শ্রীরামপুরের সাধারণ মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের সঙ্গে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের রুজি – রুটি প্রায় বন্ধের মুখে ।

এই পরিস্থিতিতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া এবং গরীব মানুষ এবং তাদের  পরিবার যাতে অনাহারে না থাকে, সেজন্য এগিয়ে এলো শ্রীরামপুর থানার আধিকারিকেরা এবং পুলিশকর্মীরা। 
 শ্রীরামপুর থানার পক্ষ থেকে ইন্সপেক্টর দিব্যেন্দু দাস সহ অন্যান্য আধিকারিক ও পুলিশ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ,” এই খাদ্যসামগ্রী বিতরন ৩০ শে মার্চ থেকে শুরু হয়েছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার হুমায়ূন কবির, আই পি এস এর তত্ত্বাবধানে ” নো এম্পটি স্টমাক” প্রকল্পের অধীনে। আপাতত থানার অধীন  ৪০০০ পরিবারকে হাতে খাদ‍্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে । ওই থানার এলাকায় প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ লোকের বসতি। সহযোগিতায় শেওড়াফুলি ফাঁড়িও রয়েছে। বহু মানুষ থানাকে স্বতস্ফূর্তভাবে খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন যাতে পুলিশের মাধ্যমে সেগুলি সাধারণ মনুষ্যের কাছে পৌঁছয় “।

  শ্রীরামপুর অঞ্চলের কোনো পরিবার যাতে অভুক্ত না রাখার লক্ষ্যে পুলিশের এই উদ্যোগ। প্রথম যেদিন এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল সেদিন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুলিশ কমিশনার হুমায়ূন কবীর চাল, ডাল বিতরণ করেন।  রিষড়া, শ্রীরামপুর, পেয়ারাপুর, শেওরফুলি , বৈদ্যবাটি প্রভৃতি এলাকায় আজ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। প্রথমদিন যৌন পল্লী এলাকাতেও ৩৫০ জনকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়।   এছাড়া হুগলি জেলার পুরোহিত সমিতির অন্তর্গত প্রায় ৮১ জন আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পুরোহিতকে খাদ্যসামগ্রী  দেওয়া হয়। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ৫ কেজি চাল, ৩ কেজি আলু ও ৫০০ গ্রাম ডাল প্রভৃতি ছিল।
প্রথমদিন হুমায়ূন কবীর জানান,” কমিশনারেটের অন্তর্ভুক্ত থানা এলাকায় ৫০ হাজার গরীব মানুষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করা হবে।”
 আইনরক্ষদের পক্ষ থেকে এই মানবিক উদ্যোগ সমাজের কাছে দৃষ্টান্তস্বরূপ। আর একারণেই এলাকার সব শ্রেণীর মানুষ একবাক্যে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

Leave a Reply