ASANSOL-BURNPUR

করোনা পরিস্থতিতে আসানসোলে দেবাশীষ ঘটক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অভিজিৎ ঘটকের হাত দিয়ে সাফাই কর্মীদের সম্বর্ধনা, সিভিক পুলিশদের টিফিন ও রাস্তার অসহায়দের খাবার বিতরণ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: মারণ করোনা ভাইরাসের প্রকোপে সারা বিশ্ব একপ্রকার   তটস্থ। সমগ্র ভারতবর্ষে লক ডাউন চলছে। আসানসোলের পরিস্থিতিও একইরকম। পশ্চিম বর্ধমান জেলাকে অরেঞ্জ জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে  

 ফ্রন্টলাইন ওয়ারিয়র হিসেবে কাজ করে চলেছেন ডাক্তার , স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ , সাফাই কর্মীর মত সামনের সারিতে কাজ করে থাকা মানুষেরা।

আর ঠিক এই অবস্থায় আসানসোলের চেলিডাঙ্গার  দেবাশীষ ঘটক ফাউন্ডেশন অভিনবভাবে করপোরেশনের  সাফাইকর্মীদের করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে চারিদিক পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার কাজে অবিচল থাকার জন্যে সম্বর্ধিত করল এবং সঙ্গে শহরের সিভিক পুলিশকর্মী যারা নিরলস ভাবে দিন রাত আইন শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে কাজ করে চলেছেন তাদের  টিফিন এবং গরীব, ভবঘুরেদের জন্যে দুপুরের খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।

 সমাজসেবার ক্ষেত্রে আসানসোলের বুকে দেবাশীষ ঘটক অতি পরিচিত নাম। তিনি আজকে আমাদের মধ্যে না থাকলেও আসানসোলের বুকে দলমত নির্বিশেষে সবাই এখনও শ্রদ্ধা করেন তাঁকে তার সমাজ সেবার জন্যে। আর তার অনুপ্রেরণা কে সামনে রেখে 
এম এম আই সি অভিজিৎ ঘটক বলেন, “ এক মাসের ওপর হয়ে গেলো আমরা সবাই করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছি।

আর এই লড়াইয়ে সামনের সারিতে যারা লড়ছেন তাদের মধ্যে যেমন ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ রয়েছেন সেরকমই সাফাই কর্মীরা রয়েছেন। তারাও এই করোনা আতঙ্ক কে উপেক্ষা করে সামনে থেকে প্রতিটি পাড়াকে স্যানিটাইজ করার কাজে লিপ্ত রয়েছেন। তাদেরও পরিবার পরিজন রয়েছেন। তাই তাদের অবদানকে না ভুলে তাদেরকে সম্বর্ধিত করতে পারে ভালো লাগছে।”

এছাড়া সামগ্রিক পরিস্থিতির আবহে ডাক্তার এবং পুলিশকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে অভিজিৎ ঘটক বলে, ” পুলিশকর্মী এবং ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর আক্রমণ খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। মানুষের  বোঝা উচিৎ এনারা নিজেদের পরিবার পরিজনের কথা ভুলে গিয়ে আমাদের বাঁচানোর তাগিদের সামনে থেকে কাজ করছেন। আজকের দিনে ডাক্তার বা পুলিশকর্মী যদি না থাকতেন তাহলে আমরা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অসহায় অবস্থায় থাকতাম।”   

এরপর শহরের বিভিন্ন জায়গায় সিভিক পুলিশকর্মীদের টিফিনের ব্যবস্থা করা হয়। এরই সঙ্গে গাড়িতে করে খাবার নিয়ে গিয়ে শহরের বিভিন্ন রাস্তার ধারে অসহায় , ভবঘুরে মানুষদের দুপুরের খাবার দেওয়া হয়
 এ বিষয়ে  সদস্য এবং উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম পিন্টু কর্মকার বলেন,” করোনা ভাইরাসকে জয় করতে দেবাশীষ ঘটকের দেখিয়ে যাওয়া আদর্শে সমাজসেবার এই সমস্ত কর্মকাণ্ড নিয়মিত করতে থাকবেন।” এছাড়া পিন্টু তাদের এই উদ্যোগে সামিল প্রতিটি সদস্য কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সঙ্গে ছিলেন দীপক বেদি, মনোজ রজক, সায়ণ দাস প্রমুখ।

 আশা করা যায় শিল্পাঞ্চলের বুকে এই  উদ্যোগ সমাজের প্রতিটি মানুষের কাছে সমাজসেবার আঙ্গিকে এক নতুন বার্তা বহন করবে।

Leave a Reply