লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যেই আসানসোল মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণন ফাউন্ডেশনের থেকে চতুর্থবার মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী সঙ্গে রমজান কিট বিতরন
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, ১৮ ই মে, ২০২০, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত:
সারা দেশে করোনা পরিস্থিতিতে চতুর্থ দফার লক ডাউন শুরু হয়েছে। লক ডাউনে কিছু ছার দেওয়া হলেও সন্ধ্যে ৭ টা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ এর নতুন নির্দেশ এসেছে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রোজ বেড়ে চলেছে। যদিও অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। পশ্চিম বর্ধমান এখনও অরেঞ্জ জোনে রয়েছে। সাধারণ মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের সঙ্গে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের রুজি – রুটি প্রায় বন্ধের মুখে ।
এই পরিস্থিতিতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া এবং গরীব মানুষ যাতে অনাহারে না থাকে, সেজন্য এগিয়ে এলো আসানসোল করপোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ডের ” রামকৃষ্ণন ফাউন্ডেশন “।
গতকাল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং ২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও রামকৃষ্ণন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন সি কে রেশমার উপস্থিতিতে সংস্থার পক্ষ থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শ্রীনগর কমিউনিটি হলে প্রায় ১০০ জন মানুষকে খাদ্যসামগ্রী ও রমজান কিট বিতরন করা হয়।
খাদ্যসামগ্রী বিতরন করার ফাঁকে শ্রম ও আইনমন্ত্রী এবং আসানসোল উত্তর বিধানসভার বিধায়ক মলয় ঘটক বলেন, “রামকৃষ্ণন ফাউন্ডেশন চতুর্থবার খাদ্যসামগ্রী বিতরন করছে। প্রথমদিন থেকেই এই সংস্থা বহু গরীব, মজদুর এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরন করে চলেছে”। সংস্থার এই কাজের ভূয়সি প্রশংসা করার সঙ্গেই সংস্থার চেয়ারপার্সন সি কে রেশমার প্রশংসা করেন মন্ত্রী।
এছাড়া মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী লক ডাউনের প্রথম দিন থেকেই রেশন কার্ড ধারকদের ৬ মাস বিনামূল্যে রেশন দেবার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এরই সঙ্গে কোরোনা সংক্রমনের থেকে বাঁচার জন্যে বেশ কিছু উপদেশ ও বিধিনিষেধ মানুষের কাছে তুলে ধরে লক ডাউনের নীয়মাবলি পালন করার জন্য মানুষজনকে অনুরোধ করেন।
রামকৃষ্ণন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন এবং আসানসোল মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সি কে রেশমা বলেন ,” এই খাদ্যসামগ্রী এবং রমজান কিট বর্তমানে এলাকার মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হলেও এরকম আরো খাদ্যসামগ্রী বিতরন করার পরিকল্পনা রয়েছে এলাকার মানুষের উদ্দেশ্য।
কোরোনা ভাইরাসের এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে রমজান মাস চলাকালীন যাতে মানুষের পাশে থেকে তাদের প্রতি যাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া যায় এটাই ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্য।”
কল্যাণপুরের রিলায়েন্স মার্কেটের কাছে ২৩ নং ওয়ার্ড অঞ্চলের মানুষ যাতে অভুক্ত না থাকে সেই লক্ষ্যে রামকৃষ্ণন ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ। খাদ্যসামগ্রী ও রমজান কিট মানুষের মধ্যে বিতরণ এর সময় মন্ত্রী এবং এ এম সি ২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সি কে রেশমা ছাড়াও ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে ছিলেন কল্যাণ , কেতন, কৃষ্ণা, পিন্টু , রবি, রাহুল, বিপুল, ব্যান্টি, অভিষেক, শীবাশিষ, রাজু, কবির, কৌসর , তনুজা খাতুন, সকিন এবং আরও অনেকে।
রামকৃষ্ণন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এই মানবিক উদ্যোগ সমাজের কাছে দৃষ্টান্তস্বরপ।