করোনা আবহে আসানসোল বি বি কলেজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্যরা বিগত ১৩ দিন ধরে ঘাগড়বুড়ি মন্দির অঞ্চলে দুঃস্থদের জন্য মধ্যাহ্ন ভোজনের আয়োজন করে চলেছে
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, ২৯ শে মে, ২০২০, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: মারণ করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতিতে ভারতবর্ষে চতুর্থ দফার লক ডাউন প্রায় শেষের মুখে। আসানসোলের পরিস্থিতি রাজ্যের নিরিখে একইরকম। পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে আসার ফলে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলাকে অরেঞ্জ জোন প্রথম থেকেই ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার ছাড়াও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি গরীব মানুষ,দিন আনা দিন খাওয়া শ্রমিক, ভবঘুরে প্রভৃতি মানুষরা যাতে খেতে পান তার কাছে করে চলেছে।
আর এরই মধ্যে করোনা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শ্রম ও আইন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মলয় ঘটকের তত্বাবধানে এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা জামুড়িয়া বিধানসভার কো -অর্ডিনেটর মেয়র পারিষদ অভিজিৎ ঘটক এর নির্দেশে গত ১৩ দিন ধরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে লক ডাউনের জেরে দুঃস্থ মানুষগুলির পাশে থাকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বি বি কলেজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। আর এই কর্মকাণ্ডে উপস্থিত ছিলেন অভিজিৎ ঘটক, পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি রঘুনাথ চৌবে, পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কার্যকরী সভাপতি অভিনব মুখার্জি, জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কমিটির সদস্যা রিয়া সামন্ত, আসানসোল উত্তর ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কার্যকরী সভাপতি শিলাদিত্য রায়, এছাড়াও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীবৃন্দ তিলন সাধু, শাওন দাস, অভিষেক ব্যানার্জি, সৌরভ মুখার্জি, সৌভিক মালি, ঋষভ সিং, সাগর দাস প্রমুখ ।
জানা গিয়েছে এই আপদকালীন পরিস্থিতিতে আসানসোলের ২ নং জাতীয় সড়ক এর পাশেই মা ঘাগরবুড়ি মন্দির সংলগ্ন জায়গায় গরীব মানুষ ও ভবঘুরের দলকে মাথা গোঁজার আপাত ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানেই গত ১৩ দিন ধরে খিচুড়ি, তরকারি খাওয়াবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গড়পড়তা রোজ প্রায় ১২০ জন মানুষকে খাওয়ানো হচ্ছে।