ASANSOLASANSOL-BURNPURBengali NewsFEATURED

বার্ণপুরের গ্রামে মহালয়ার দিনে হয় একদিনের দূর্গাপুজো

বার্ণপুরের গ্রামে মহালয়ার দিনে হয় একদিনের দূর্গাপুজো
বার্ণপুরের গ্রামে মহালয়ার দিনে হয় একদিনের দূর্গাপুজো

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১৭ সেপ্টেম্বরঃ পঞ্জিকা মতে এবারের দূর্গাপুজো মহালয়ার দিন থেকে ১ মাস ৫ দিন পরে। ২২ অক্টোবর মহা ষষ্ঠী। কিন্তু পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্ণপুরের ধেনুয়া গ্রামে অবশ্য তা হয়নি বা হবেনা। বার্ণপুরের এই গ্রামে মহালয়ায় দিন দূর্গাপুজো। তাও আবার একদিনের। সেইদিক থেকে এই পুজো বাংলার দূর্গাপুজোর ক্ষেত্রে একবারে ব্যতিক্রম তা বলাই যেতে পারে।

করোনা কালে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পুরনো রীতি মেনে বৃহস্পতিবার মহালয়ার সকাল থেকে এই পুজো শুরু হয়। নবপত্রিকা বা কলা বউ স্নানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় মহা সপ্তমীর পুজো। তারপর একে একে নিয়ম মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে মহাষ্টমী ও মহানবমীর পুজো। তারপর অপরাজিতা পুজো দিয়ে শেষ হয় দশমী।

১৯৬৯ সালে ধেনুয়া গ্রামে এই দূর্গাপুজো শুরু করেছিলেন কালীকৃষ্ণ সরস্বতী ঠাকুর

এই বছর ধেনুয়া গ্রামের এই পুজোয় পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করেন হিরাপুর থানার আশীষ কুমার ঠাকুর। তার কথাতেই জানা গেলো এই পুজোর পুরনো ইতিহাস। বাংলার ১৩৮২ বা ২৪ বঙ্গাব্দে ইংরাজির ১৯৬৯ সালে ধেনুয়া গ্রামে এই দূর্গাপুজো শুরু করেছিলেন কালীকৃষ্ণ সরস্বতী ঠাকুর। এই গ্রামের তার হাতের তৈরী দক্ষিণা কালি মন্দির ও বাবা মহাদেবের মন্দির আছে। কালীকৃষ্ণ সরস্বতী ঠাকুর মারা যাওয়ার পরে, তার সমাধিও এখানে করা হয়েছে।

আশীষবাবু বলেন, এখানে মা দূর্গার সঙ্গে তার চার ছেলেমেয়ে লক্ষী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশ এখানে নেই। থাকেন না মহিষাসুরও। এখানে মায়ের সঙ্গে থাকেন তার দুই সখী জয়া ও বিজয়া। তারাই মায়ের সঙ্গে এখানে পুজিত হন। আশীষবাবুর কথায় আরো জানা যায়, এই পুজো বৈষ্ণব মতে করা হয়। যা কালীকৃষ্ণ সরস্বতী ঠাকুর শুরু করেছিলেন। তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি। এই পুজোয় কোন বলি হয় না।


তবে কেন, মহালয়ার দিনে একদিনের দূর্গাপুজো হয়, তা অবশ্য আশীষ কুমার ঠাকুর বা গ্রামের বাসিন্দারা বলতে পারেননি। আশীষবাবু বলেন, আমাদের জানা নেই। হতে পারে তিনি কোন স্বপ্ন পেয়েছিলেন।


পুজোর সেবাইত কৃষ্ণচন্দ্র ধীবর বলেন, এখানে মা দূর্গা কুমারী মহামায়া। আগে এখানে কালি পুজো ও শিবপুজো হতো। পরে দূর্গাপুজো শুরু হয়। এবারে করোনা ভাইরাস ও লক ডাউনের কারণে বেশি ভিড় করা হচ্ছে না। শুধু পুজো ও সামান্য মায়ের ভোগ বিতরণ করা হবে। তবে, গ্রামের মহিলারা বলেন, এটা অকাল বোধনও বলা যেতে পারে।

Leave a Reply