ASANSOLASANSOL-BURNPUR

Asansol পালিত হলো জাতীয় রক্তদান দিবস

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, অক্টোবর,২০২০, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত :
বৃহস্পতিবার ১ লা অক্টোবর জাতীয় রক্তদান দিবস হিসেবে পালিত হয় সারা দেশে ।
করোনা পরিস্থিতিতে এই দিনটির তাৎপর্য অসীম l পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা এখন রক্তদান আন্দোলনে সারা দেশের মধ্যে অন্যতম অগ্রণী l পয়লা অক্টোবর এই উদ্যোগকে উদযাপন করার দিন l

Asansol পালিত হলো জাতীয় রক্তদান দিবস

ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অর্গানাইজেশনস সমন্বয় কমিটি, পূর্ব- পশ্চিম বর্ধমানের পক্ষ থেকে আগামী পয়লা অক্টোবর বিশেষ কিছু সভার আয়োজন করা হচ্ছে দুই জেলা জুড়ে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় রক্তদান দিবসে ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অর্গানাইজেশনস সমন্বয় কমিটি, পূর্ব- পশ্চিম বর্ধমান এবং সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের যৌথ উদ্যোগে আসানসোলের একটি বেসরকারি হোটেলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বিকেল চারটের সময় l

করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ কঠিন সময়ে যে সকল সংস্থা সমস্ত ভয়কে তুচ্ছ করে ন্যানো রক্তদান শিবির আয়োজনে এগিয়ে এসেছিলেন তাদের প্রতি সমন্বয় কমিটি সেদিন বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানায় সংবর্ধনা এবং সার্টিফিকেট প্রদান করে।

উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অতিথিবর্গ

অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন হয় উদ্বোধনী সংগীত এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে। যদি প্রজ্জ্বলন করেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা ( CMOH) ড: অশ্বিনী কুমার মাজি, আসানসোল দক্ষিণ বিধায়ক ও এডিডিএ চেয়ারম্যান তাপস ব্যানার্জি, আসানসোল জেলা হাসপাতাল সুপারিনটেনডেন্ট ড: নিখিল চন্দ্র দাস, আসানসোল ব্লাড ব্যাংকের ইনচার্জ ড: সঞ্জিত চ্যাটার্জী, বিশিষ্ট সাংবাদিক বিশ্বদেব ভট্টাচার্য, সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সুভাষ আগরওয়াল, কার্যকরী সভাপতি আরপি খৈতান এবং সেক্রেটারি সুব্রত দত্ত,ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অর্গানাইজেশনস সমন্বয় কমিটির সেক্রেটারি অসীম সরকার,
বার্নপুর সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার কমিটি এন্ড ভালান্টারি ব্লাড ডোনার্স এর পক্ষ থেকে আসানসোলের রক্ত আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রবীর ধর, আসানসোল কর্পোরেশনের মেয়র পারিষদ লক্ষণ ঠাকুর, ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ববিতা দাস, ইন্ডিয়ান কেবল নেট কোম্পানি লিমিটেড (সিটি কেবল) এর কর্ণধার জয়দীপ মুখার্জি প্রমুখ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রক্ত আন্দোলন কর্মী তপন মাহাতা, সমাজকর্মী ও ব্যবসায়ী পবন গুটগুটিয়া, রক্ত আন্দোলন কর্মী ও সমাজকর্মী বিশ্বদেব ভট্টাচার্য, সমাজকর্মী শর্মিলা বন্দোপাধ্যায়, রক্ত আন্দোলনকর্মী বিলাল খান, সোহেল সহ সমাজের বিভিন্ন মানুষ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডঃ অশ্বিনী মাজি বলেন, ” আমি এখানে এসে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত হলাম। জেনে অবাক হলাম যে এখানে একজন ব্যক্তিও যে রকম একটি ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প করতে পারছে,একটি পরিবার ও ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প করতে পারছে, একজন সিনিয়র সিটিজেন রক্তদান সামিল হয়ে এমন কর্মকাণ্ডে যোগ দিতে পারছেন।

আপনাদের সমন্বয় কমিটিকে আমি অশেষ ধন্যবাদ, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা জানাই রক্তদান আন্দোলনকে আপনার এই পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারার জন্য। আমি গর্বিত যে এইরকম মহান কাজের সঙ্গে আমাকে যুক্ত করা হয়েছে।ভবিষ্যতে আমি পাশে থাকবো। এই আন্দোলন যেমন আপনারা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পেরেছেন তেমনি আরো যাতে এর উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি পায় সেটাই কামনা করি। “

জীবনের ঝুঁকি নিয়েও রক্ত সংকটকে দূর করতে সচেষ্ট হয়েছেন

এডিডিএ চেয়ারম্যান তাপস ব্যানার্জি বলেন, “করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েও রক্ত সংকটকে দূর করতে সচেষ্ট হয়েছেন তারা এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বীকৃতি পেল ভবিষ্যতের জন্য আরো অনুপ্রাণিত হবেন। সেইসব রক্ত আন্দোলনে ব্রতী সংগঠন ও কর্মীদের আমার শুভেচ্ছা জানাই।”

এদিন ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অর্গানাইজেশনস সমন্বয় কমিটির সেক্রেটারি অসীম সরকার এবং আসানসোল স্নেহের পরশের থেকে সুমিত বন্দোপাধ্যায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

রতন দোলনের কর্মী তপন
মাহাতা বলেন, ” জাতীয় রক্তদান দিবস এই দিনটি আমরা পালন করে চলেছি আর ১৯৭৫ সাল থেকে। আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ড: জয়গোপাল জোলি। তাকে আমরা ট্রানস্ফিউশন মেডিসিনের ফাদার বলি।

ভারতে ‘ন্যাশনাল ব্লাড পলিসি’ এই জয়গোপাল জোলির চেষ্টাতেই হয়েছিল। তিনি শুধুমাত্র ভারতবর্ষের নয় এই ব্লাড ট্রান্সফিউশন নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তার জন্মদিনকেই আমরা ন্যাশনাল ব্লাড ডোনেশন ডে হিসেবে পালন করি।”

ঐদিন বিভিন্ন সংগঠন যেমন আসানসোল স্নেহের পরশ, গোপালনগর ক্রিকেট ক্লাব, লায়ন্স ক্লাব অব আসানসোল সিটি, অল ইন্ডিয়া হিউম্যান রাইটস, লক্ষী চ্যারিটেবিল ট্রাস্ট, অখিল ভারতীয় মাড়োয়ারি মহিলা সম্মেলন, টিপু সুলতান ওয়েলফেয়ার সোসাইটি প্রমুখ সংগঠনকে সার্টিফিকেট দিয়ে সম্মানিত করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ওই সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা।

ওইদিন উপস্থিত সকল রক্তদান কর্মী রক্তদান আন্দোলনকে সামনে রেখে একে অন্যের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার গ্রহণ করেন।

Leave a Reply