ASANSOL

ঘটনার ২২ দিন পরেও গ্রেফতার হয়নি একজন অভিযুক্তও

পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ মৃত ব্যবসায়ীর স্ত্রী

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৭ অক্টোবরঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রেলপার এলাকার বাসিন্দা মহঃ ইশরার নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্য বাজারে মারধর করে খুন করার অভিযোগ উঠেছিলো তারই সম্পর্কিত ৫ খুড়তুতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্য দিবালোকে আসানসোল বাজারে ঘটা এই ঘটনার ২২ দিন পরেও অভিযুক্তরা কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

আর তা না হওয়ায় ও সুবিচারের আশায় মঙ্গলবার সকালে আসানসোলে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে মৃত ব্যবসায়ীর স্ত্রী, শাশুড়ি সহ অন্যরা লিখিতভাবে অভিযোগ জানান । তারা অভিযোগ করে বলেন, নির্দিষ্টভাবে নাম দিয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানায় ৫ জনের বিরূদ্ধে অভিযোগ করার পরেও এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। বারবার ব্যবসায়ীর মৃতদেহর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চেয়েও তারা তা পাচ্ছেন ।

যদি এখানে তারা এসে অভিযোগ জানানোর পরে সুবিচার না পান তাহলে তারা এরপরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হবেন সুবিচারের আশায়।

মৃতার শাশুড়ি ইশরাত পারভিন বলেন, আমাদের বিশ্বাস আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার আমার মেয়েকে তার বোনের মতো ভেবে নিশ্চয়ই প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করানোর ব্যবস্থা করবেন। পাশাপাশি তিনি আদালতের সাহায্যে তাদের ফাঁসির দেওয়ানোরও ব্যবস্থা করবেন বলে আমাদের আশা।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আসানসোল বাজারে দোকানের সামনে নোংরা আবর্জনা ফেলা নিয়ে বিবাদের জেরে গত ৪ অক্টোবর ঐ ব্যবসায়ীকে মারধর করার অভিযোগ উঠে তার খুড়তুতো ৫ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। পরে তার মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যরা ব্যবসায়ীর দেহ কবরও দিয়ে দেন৷ শেষ পর্যন্ত সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গত ৮ অক্টোবর উত্তর আসানসোলের রেলপার এলাকায় কবরস্থান থেকে ঐ ব্যবসায়ীর দেহ তুলে ময়নাতদন্ত করা হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে। মৃত ব্যবসায়ীর বাড়ি আসানসোল উত্তর থানার রেলপারের ওকে রোডে। ব্যবসায়ীর স্ত্রী ছাড়াও দেড় বছরের এক সন্তান আছে।

এদিন মহঃ ইশরারের শ্বশুর মুস্তাফিজ আলম বলেন, মহঃ জালোর পাঁচ ছেলের নামে জামাইকে খুনের অভিযোগ থাকলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আমরা পাইনি। আমরা গোটা বিষয়টি এদিন আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারের অফিসে এসে জানালাম। পুলিশ কমিশনারের কাছ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে।

Leave a Reply